ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পোকখালীর বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

Gomatoli_1কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ও মোরার আঘাতে ৬৬/৩ পোল্ডারের টেন্ডারকৃত বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ অনতিবিলম্বে শুরু করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় গোমাতলী বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন পরিষদ আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সদস্য সচিব ও নিরক্ষরমুক্ত পোকখালী শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহিদুর রহমানের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়।
এসময় তিনি এলাকাবাসীর সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় গোমাতলীর ক্ষয়ক্ষতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিবেন বলে উপস্থিতিদের আশ্বস্ত করেছেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে সদর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মহিদুল্লাহ, প্রবীণ মুরুব্বী মো. ইউছুপ, আবু বক্কর, আবদুল মান্নান, গোমাতলী ভুমিহীন সমিতির আবদুল গফুর এম.এ, হাসান আলী ভেদু, সাবেক মেম্বার নুরুল আবছার, হাফেজ মো. লেদু, মনছুর আহমদ, গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন, বর্তমান সভাপতি সেলিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, পরিচালক নুরুল আজিম, হাবিবুর রহমান, পোকখালী ইউপির যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, এসএম ছৈয়দ উল্লাহ আজাদ, জিয়াউল করিম মিন্টু, পোকখালী ইউপি যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন ও সাবেক মেম্বার শরিয়ত উল্লাহ খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত ১৭ মাস যাবৎ জোয়ার-ভাটায় গোমাতলীর ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ও মোরার আঘাতে রাস্তাঘাট লন্ডভন্ড হয়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযাগ ব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার কারণে শিক্ষার কার্যক্রমে চরম ব্যাহত হচ্ছে।
অপরদিকে চিংড়িঘের সংশ্লিষ্টদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ইতোপূর্বে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সংশ্লিষ্ট ভাঙন এলাকার জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর গাফেলতি ও গড়িমসির কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ না করে ভাগবাটোয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত: