ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম !

মাদকসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ০২ ফেব্রুয়ারী ::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী এখন মাদকের আখড়া। মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে লালগোলা এলাকা। মাদকাসক্ত যুব ও ছাত্র সমাজ আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে এ পেশায়। মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাত থেকে মোটেও রেহাই পাচ্ছেনা উঠতি বয়সের যুবকেরা। নানা রকম মাদকদ্রব্য সেবন করে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে অগ্রসর হচ্ছে। খুটাখালীতে অসাধু সিন্ডিকেট মহলের ছত্রছায়ায় চিহ্নিত কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে একেবারে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তাদের ব্যবসা রাত দিন চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারণেই এলাকার নেশাগ্রস্থ পরিবার গুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা ও অশান্তি। ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা ফলে বিপাকে পড়ছে গোটা পরিবার । স্থানীয় প্রশাসনের জোরদার না থাকায় সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার খুটাখালী পূর্বপাড়া,দক্ষিণপাড়া,গর্জনতলী ও ফুলছড়িসহ পার্শ্ববর্তী বাজারের চিহ্নিত কলোনীতে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলেছে। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকদ্রব্য সামগ্রীর বিকিকিনি হচ্ছে বলে ও বিশ্বস্ত সূত্রে প্রকাশ। এলাকাবাসী জানান, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাসহ অপরাধীদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। অন্যদিকে-স্ত্রী তাদের স্বামীদেরকে এসব মরণ নেশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য শত চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে গড়ছে নারী নির্যাতনসহ অসংখ্য ঘটনার সূত্রপাত। এদিকে গর্জনতলী নামক এলাকায় মাদকদ্রব্য বেচাকেনা চলছে বলেও একাধিক সূত্রে জানা যায়। পুলিশ একাধিকবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক সেবন করারত অবস্থায় হেরোইন সেবীদেরকে আটক করলেও সিন্ডিকেটের অপরাপর সদস্যরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

চকরিয়া থানা পুলিশ জানান, মাদক বেচাকেনা ও সেবনের বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। স্পটের খবর পেলেই অভিযান অব্যাহত থাকবে। খুটাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, বেশ কিছু এলাকা মাদক বেচাকেনা, সন্ত্রাস ও চোর ডাকাতের আস্তানা বলে চিহ্নিত। তবে তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও সেবিদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত: