ঢাকা,রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কাবিন নামা মুলে বিয়ে সম্পন্ন

notari
আমরা এই মর্মে ঘোষনা করতেছি যে, আমি মনিকা সোলতানা মনি (১৮), পিতা-আবুল কাসেম, মাতা- সাজেদা আক্তার, সাং- পূর্ব মাইজপাড়, ইউনিয়ন-ডুলাহাজারা, উপজেলা-চকরিয়া-জেলা-কক্সবাজার। ও আমি আবদুল মন্নান(২৭), পিতা- মৃত- নুরুল আলম, মাতা- মালেকা বেগম সাং- ভেন্ডিবাজার, ৩নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন –ফাঁসিয়াখালী, চকরিয়া-কক্সবাজার।
গত ২৪-০৯-২০১৭ইং তারিখে রেজিষ্ট্রাট কাবিন নামা ও ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে ও পবিত্র আকদের মাধ্যমে আমরা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের শুভ বিবাহের  পর  সুখে, শান্তিতে দামপত্য জীবন অতিবাহিত কালে বিগত ০১-১০-২০১৭ ইং আমরা উভয়ে রেজির্ষ্ট্রাড ০১৭৯(এন)১০ নোটারী হলফনামা মূলে শপথপূর্বক ঘোষনা করিয়াছি যে, আমরা উভয়ে  প্রাপ্ত বয়স্ক ও কারো বিনা উসকানিতে এবং সহযোগিতা ছাড়া স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, নিকাহ ও তালাক অফিসে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
আমি মনিকা সোলতানা মনিকে আমার স্বামী আবদুল মন্নান কোন অপহরণ বা জোরপূর্বক নিয়ে আসেনাই।
আমি মনিকা সোলতানা মনিকে আবদুল মন্নান জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করেনি। আমি মনিকা সোলতানা মনি আবদুল মন্নানকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমাদের ভবিষৎ দামপত্য জীবন সূখে- শান্তিতে অতিবাহিত হওয়ার জন্য পরিবারের সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
আবদুল মন্নান আরো জানায়,  তিনি বিদেশে থাকা কালিন সময়ে তার পূর্বের স্ত্রী রোকসানা আক্তার আবদুল মন্নানের সাথে মৌখিক অশ্লিল ভাষায় ঝগড়া বিবাদ করে তার পিতার বাড়িতে চলে যায় এবং রোকসানা আক্তার সাথে করে ভিটার দলিল, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪ লাখ টাকা, ২টি বিদেশী কম্বল ও অন্যান্য মূল্যবান কাপড় চোপড় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আবদুল মন্নান বিগত ৫-০৮-২০১৭ ইং দেশে চলে আসে। দেশে আসার পর আবদুল মন্নান তার স্ত্রী রোকসানাকে অনেক চেষ্টার পরও আবদুল মন্নানের কাছে  ফিরিয়ে  আনতে পারেন নাই।  এর প্রেক্ষিতে আবদুল মন্নান বিগত ৬-০৮-২০১৭ইং তারিখে রোকসানা আক্তারকে তালাক প্রদান করেন।
এবং উক্ত তালাকের নোটিশ চেয়ারম্যান ফাঁসিয়াখালী ও চেয়ারম্যান ডুলাহাজারা, রোকসানা আক্তার, তালাক ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার বরাবরে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে সমুদয় ঘটনা নিয়ে  বিগত ১২-০৮-২০১৭ইং তারিখে, চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধীন। পরবর্তীতে আবদুল মন্নান বিগত ১৭-০৯-২০১৭ইং তারিখে, পারিবারিক আদালত, চকরিয়া-কক্সবাজারে রোকসানার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের মোকাদ্দমা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটিও বিচারাধীন।
এছাড়া বিগত ০৪-০৯-২০১৭ তারিখে আবদুল মন্নান ও তার মাতা মালেকা বেগম, রোকসানা আক্তারকে আবদুল মন্নানের বাড়িতে  ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য গেলে রোকসানা আক্তার, তার পিতা আবুল কাসেম ও তার এক আত্মীয় গিয়াস উদ্দিন আবদুল মন্নান ও তার মাতা মালেকা বেগমকে বেদম মারধর করে। উক্ত ব্যাপারে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর, মামলা নং- ১১৭৩/১৭ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে উক্ত মামলা তদন্তধীন রয়েছে। উল্লখ্য তাকে যে, রোকসানা আক্তার, তার পিতা এবং আত্মীয়দের দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেইজবুকে ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব সংবাদ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে বিনীত ভাবে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি।

পাঠকের মতামত: