ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃতজালনোট নিয়ে বিপাকে বয়স্কভাতাধারী ২ নারী

jalnotএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চকরিয়া শাখা অফিসের দেয়া ৬ হাজার টাকার জালনোট নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন বয়স্কভাতাধারী দুই নারী। উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে সরকার প্রধান দেশরতœ শেখ হাসিনার ঘোষিত বয়স্ক ভাতার উপকারভোগী নির্বাচিত হন ফররুক আহমদের স্ত্রী সিরাজ খাতুন ও বশির আহমদের স্ত্রী নুর জাহান। দুইজনের বাড়ি চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডে। গত ৭ আগষ্ট সকালে ব্যাংক থেকে তাঁরা ৬মাসের বয়স্কভাতার এককালীন টাকা উত্তোলন করেন। প্রতিমাসে পাঁচশত টাকা করে ছয়মাসে প্রতিজন তিন হাজার করে ৬ হাজার টাকা ভাতা পান।

ভুক্তভোগী নারী সিরাজ খাতুন ও নুর জাহান অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক থেকে বই দেখিয়ে তাঁরা ৬ মাসের তিন হাজার করে ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। প্রতিজনকে ব্যাংক থেকে তিনটি করে এক হাজার টাকার নোট দেয়া হয়। টাকা গুলো নিয়ে তাঁরা বাড়িতে রাখেন। একদিন পর একটি এক হাজার টাকা নিয়ে বাড়ির জন্য চাউল কিরতে গেলে দোকানী বলে টাকাটা জাল। এরপর বাড়িতে থাকা অপর দুটি টাকা দোকানীর কাছে নিয়ে গেলে ওই গুলোও জালনোট বলে সনাক্ত করে উপস্থিত লোকজন। এসব কথা বলেন সিরাজ খাতুন। তারমতো একই ঘটনা ঘটেছে নুর জাহানেরও। তার তিনটি এক হাজার টাকার নোটও জাল। এ ঘটনার পরপর দুইজন তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। চেয়ারম্যানের পরামর্শে তাঁরা ঘটনাটি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানান।

চকরিয়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই নারী সমাজ সেবা বিভাগের অধীন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্কভাতার উপকারী। তাঁরা জানিয়েছে, ছয়মাসের এককালীন ভাতার টাকা তুলতে ব্যাংকে যান। তাদেরকে যেসব টাকা ব্যাংক থেকে দেয়া হয়েছে সবই জালনোট। তিনি বলেন, ঘটনাটি ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কৃষি ব্যাংক চকরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহসিন বলেন, দুই নারী টাকা উত্তোলন করেছে চলতি মাসের ৭ তারিখ। টাকা বাড়িতে নেয়ার দুইদিন পর তাঁরা ব্যাংকে এসে বলেছে টাকা গুলো জাল। তাদের এ ধরণের কথা আইনগতভাবে কতটুকু যুক্তিসংগত। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকে কোন ধরণের জালনোট লেনদেন হয়না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীরা কোন একটি চক্রের মাধ্যমে টাকা গুলো বাজারজাত করার চেষ্ঠা করছে। তাঁেত ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: