ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সংবিধান পরিপন্থী ৫৭ ধারা বাতিল করুন -রাজপথে অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা

Coxচকরিয়া নিউজ ডেস্ক :::

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে এটি অবিলম্বে বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকেরা।
বক্তারা বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অতি উৎসাহি ভূমিকায় ৫৭ ধারা নামের সংবিধান পরিপন্থী আইন করা হয়। এ আইনের কারণে আজ গণমাধ্যম তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারছেনা। গঠনমূলক সমালোচনা থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের কারণে অনেক নিরীহ কলম সৈনিক কারা ভোগ করেছে। অবিলম্বে কালো আইন বাতিল করা হোক।
রবিবার (৬ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় কোটহিল চত্বরে (পৌরসভার সামনে) তথ্যপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল, রেজিষ্ট্রার্ড সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সমন্বয়ে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন, বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া এবং সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানি বন্ধের দাবীতে ‘রাজপথে অবস্থান’ কর্মসুচিতে এ দাবী জানানো হয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে রেজি:নং-১৯৮৭) ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার (জেইউসি রেজি: নং ২৫৭৫) এর উদ্যোগে রাজপথে অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়।
প্রবীন সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন বাহারীর সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করতে চাইলে সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা দিতে হবে। ৫৭ ধারার পরিবর্তে সরকার নতুন আইনে ১৯-২০ ধারা করার চেষ্টা করলে আমরা সেটাও মেনে নেব না।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদ- এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
২০০৬ সালে হওয়া ওই আইন ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুই দফা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধনে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর থেকে ১৪ বছর কারাদ-ের বিধান করা হয়। আর ৫৭ ধারার অপরাধকে করা হয় অজামিনযাগ্য।
এই ধারা বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা যেখানে নির্যাতিত হবে, নিগৃহীত হবে সেটা যেই মহল থেকেই হোক না কেন প্রতিবাদ হবে। ৫৭ ধারা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এতে বক্তৃতা করেন- কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক রূপালী সৈকতের সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীন সাংবাদিক এস.এম আমিনুল হক চৌধুরী, দৈনিক দিনকালের স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম হেলালী, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট কল্যাণ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাশিম, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সাধারণ সম্পাদ হাসানুর রশীদ, দৈনিক সকালের কক্সবাজার এর সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, নির্বাহী সম্পাদ মহসীন শেখ, ক্রিড়া লেখক সমিতির সভাপতি এম.আর মাহবুব, বন ও পরিবেশ সংগঠক মুহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর, উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শ.ম ইকবাল বাহার চৌধুরী।
সাংবাদিক ছৈয়দ আলম ও আজিজ রাসেলের যৌথ পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়াদিগন্তের কক্সবাজার প্রতিনিধি গোলাম আজম খান, মোহনা টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি আমানুল হক বাবুল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম. ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাংলার সম্পাদক চঞ্চল দাশ গুপ্ত, উখিয়া নিউজের সম্পাদক ওবায়দুল হক আবু চৌধুরী, কক্সবাজার টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার খবরের সম্পাদক অনোয়ার হাসান চৌধুরী, দৈনিক আমাদের কক্সবাজার এর চীফ রিপোর্টার আতিকুর রহমান মানিক, দৈনিক সকালের কক্সবাজার এর চীফ রিপোর্টার শাহেদ ইমরান মিজান, সংবাদকর্মী রফিকুল ইসলাম সোহেল ও জাহাঙ্গীর আলম।

পাঠকের মতামত: