ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ২ দিনে দেড়হাজার টন চাল আমদানী

টেকনাফ প্রতিনিধি : :teknaf-land-pict  2.6.2016-2
টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে চাল আমদানী হচ্ছে বলে জানা গেছে। ৩ এবং ৪ আগস্ট ২দিনেই এসেছে ১৫ শতাধিক মেট্রিক টন চাল। ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময় টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস সুত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে।
টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে অন্যতম চাল আমদানীকারক আলহাজ্ব এমএ হাশেম সিআইপি জানান, টেকনাফ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন সময় চাল আমদানী হয়েছে। তবে এবার দেশে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারী ভাবে চালের আমদানী শুল্ক কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানীতে উৎসাহিত হয়েছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে চাল আমদানী হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আরও চাল আসার পথে রয়েছে। চাল আমদানী অব্যাহত থাকবে। টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা এসএম মোশাররফ হোসেন জানান আইজিএম জমা হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব আমদানীকৃত চাল খালাস করা হচ্ছে।
জানা যায় বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট সন্ধায় এবং শুক্রবার ৪ আগস্ট সকালে দু’টি চাল বোঝাই জাহাজ টেকনাফ স্থল বন্দরে পৌঁছে। সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় যৌথভাবে দুই জাহাজে মিয়ানমার থেকে চাল আমদানী করেন টেকনাফ স্থল বন্দরের তিনজন আমদানীকারক আলহাজ্ব এমএ হাশেম সিআইপি, আব্দুল হাফেজ ও হাজী ওসমান।
৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে আসা জাহাজটিতে ৭২৫ মেট্রিক টন চাল রয়েছে যা আলহাজ এমএ হাশেম সিআইপি ও হাজী ওসমান যৌথভাবে আমদানী করেছেন। অপরদিকে ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধায় আসা জাহাজটিতে ৮৩৩ মেট্রিক টন চাল রয়েছে। যা আলহাজ্ব এমএ হাশেম সিআইপি ও আব্দুল হাফেজ যৌথভাবে আমদানী করেন। টেকনাফ স্থল বন্দর ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে চাল আমদানী হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: