ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঝুঁকিতে মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা ব্রিজ

মিজবাউল হক,  চকরিয়া :
মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা ব্রিজটি দিনদিন ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। অব্যাহত ভারি বর্ষণ, ঢলের পানি ও মেয়াদর্ত্তৌন হওয়ায় আরও বেশি ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে দক্ষিণ অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এ ব্রিজটি। দ্রুত সময়ে ব্রিজটির সংস্কার বা মেরামত না করলেও যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
জানা যায়, ১৯৫৫সালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াতের জন্য আরকান সড়কের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গায় মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মাণ করা হয় অত্যন্ত জনগুরত্বত্বপূর্ণ ব্রিজটি। চার বছর সময় লেগেছে তিন’শ মিটার ব্রিজটি নির্মাণ করতে। ব্রিজটির বয়স বর্তমানে প্রায় ৬২ বছর অতিবাহিত হয়েছে। মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। সেই থেকে মেয়াদত্তেীর্ণ ব্রিজটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুকির মধ্যে।
এদিকে মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা ব্রিজটি দিনদিন ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। অব্যাহত ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ও মেয়াদর্ত্তৌন হওয়ায় আরও বেশি ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে দক্ষিণ অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এ ব্রিজটি। সম্প্রতি ব্রিজটির নিচে একটি পিলার ফাটল দেখা দেখা দিয়েছে। পিলারের উপরিভাগে প্রায় তিন ফুট মত লম্বা ফাটল ধরেছে। মধ্যখানের কিছু অংশ ঝরে গেছে। সম্প্রতি ব্রিজের নিচে সহ¯্রাধিক বালির বস্তা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্ঠা করে চকরিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এক মাসের ব্যবধানে দুটি বন্যার পানির তোড়ে বালির বস্তা গুলো ব্রিজ থেকে সরে গেছে। এতে চরম ঝুকির মধ্যে এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১০টনের বেশি মালামাল নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে যান চলাচল না করতে নিষেধ করলেও তা মানছে না পরিবহন চালকরা। প্রতিদিন মালামাল ও ভারি যানবাহন এ ব্রিজ দিয়ে যাতায়ত করছে। এ অবস্থায় ব্রিজটি চরম ঝুকির মধ্যে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ না নিলে যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। এছাড়া ব্রিজের মাঝখানে ভাঙ্গা অংশে বসানো পাতাটন দিয়ে ৬-৭ বছর ধরে চলাচল করছে যানবাহন গুলো। বর্তমানে জোড়াতালি দিয়ে চলছে ব্রিজটি। সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি চারলেন করার ঘোষণা দিলেও দূশ্যমান কিছুই হচ্ছে না। চরম ঝুকির মধ্যে যান চলাচল করছে মাতামুুুহুরী নদীর এ ব্রিজ দিয়ে।
এব্যাপারে চকরিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান শাওন জানান, মাতামুহুরী নদীর ব্রিজ দিয়ে দশটনের বেশি মালামাল নিয়ে যান চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও চালকরা এসব মানছে না। চালকরা দশটনের মধ্যে মালামাল নিয়ে চলাচল করতো, তাহলে ব্রিজটি আরও অনেক বছর ব্যবহার করা যেতো। তিনি আরও বলেন, বন্যা ও অব্যাহত ভারি বর্ষণে ব্রিজটির কোন সমস্যা হচ্ছে কী না সেজন্য সওজের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: