ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

লামায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ॥ পানিবন্ধি ৫০ হাজার মানুষ

Photo 04.07.17 (3) Photo 04.07.17 (1)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামায় গত তিন দিনের বৃষ্টিপাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারী ও পনিবন্ধি মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে সরকারী ভাবে মাইকিং করা হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী স্থাপনাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা জন্য বলা হয়েছে।

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, লামা বাজার সহ পৌর এলাকার এখন পানির নিচে। সোমবার থেকে পানিবন্ধি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নৌকা দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। শুধুমাত্র পৌর এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী মানুষের সংখ্যা বেশী হওয়ায় ত্রাণ, নিরাপদ পানি ও শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।

রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা জানান, পাহাড়ি ঢলে সমগ্র এলাকা এখন পানির নিচে। পানি আরো বাড়বে। পাহাড়ি বাঙ্গালী মানুষের দূর্ভোগ চরমে।

৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, সোমবার থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রচুর স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে তবে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এসময় ত্রাণের প্রয়োজন ছিল। অধিকাংশ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার।

লামা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাপান বড়–য়া বলেন, যে পরিমাণ পানি হয়েছে তাতে শুধুমাত্র বাজার ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে কয়েক কোটি টাকা। মাতামুহুরী নদীর গতিপদ পরিবর্তন ছাড়া বারবার সৃষ্ট এই বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয়। এইরকম পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের আশ্রয়ের কোন জায়গা নেই। লামা বাজারে একটি আশ্রয় কেন্দ্র করা প্রয়োজন।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফাজিল মাদ্রাসা, নুনার বিল ও চেয়ারম্যান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮/৯ শতাধিক পানিবন্ধি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে জরুরী খাবার ও পানির প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমরা সচেষ্ট রয়েছি। যে কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র সহায়তায় করার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সহযোগি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাদ্য গুদামে প্রায় একশত মেট্রিক টন চাল ও গম মজুদ রয়েছে।

পাঠকের মতামত: