ঢাকা,শনিবার, ১১ মে ২০২৪

লামায় কবরস্থানের জায়গা রক্ষা করতে গিয়ে আইনী হয়রাণীর শিকার

hoyমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকায় সামাজিক কবরস্থান অবৈধ দখলদার থেকে রক্ষা করতে গিয়ে আইনী হয়রাণী ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে কয়েকজন নিরীহ এলাকাবাসী। নলবুনিয়া মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার গোলাম কাদের বলেন, কবরস্থনের পক্ষে কথা বলায় মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পার্শ্ববর্তী আনোয়ারা বেগম এলাকার গণ্যমান্য ৬জনকে বিবাদী করে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে।

নলবুনিয়া এলাকার মুরব্বী আলী আজম বলেন, ১৯৬২ সাল থেকে উক্ত জায়গাটি এলাকার লোকজন কবর স্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। পার্শ্ববর্তী জনৈক আবুল বশর কবরস্থনের দক্ষিণ পাশে ১৯৮০-৮১ সালের বন্ধোবস্তী মতে আর/৬৫০ নং হোল্ডিং মূলে ৩ একর জায়গার মালিক। তার জায়গার চৌহদ্দী উত্তরে চলাচল রাস্তা। রাস্তার উত্তর পাশে রয়েছে কবর। অথচ সে সীমানা অতিক্রম করে রাস্তা এইপারে কবরস্থানের জায়গা দাবী করছে। ১৯৭২ সালের জরিপে উক্ত কবরস্থানটি উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া নলবুনিয়া এলাকার জনসাধারণ হেডম্যান রিপোর্ট ও মোকাদ্দমা মামলা ৫/২০১৪ মতে উক্ত জায়গা ১৯৬২ সাল থেকে ৫৫ বছর যাবৎ কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করছে।

নলবুনিয়া সমাজের বাসিন্দা আবুল কাসেম বলেন, কবরস্থানটি ঝোঁপঝাপ পরিষ্কার করতে গেলে বিরোধের সৃষ্টি। রাস্তার সীমানা অতিক্রম করে আবুল বশরের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও মেয়ে সেলিনা আক্তার কবর পরিষ্কার করতে বাধা দেয়। তাদের বসবাসের অনেক পূর্ব থেকে কবরস্থানটি রয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে বাধা দিলে তা না মেনে কাজ করতে গেলে তারা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মসজিদ কমিটি ও সমাজের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নামে লামা কোর্টে মামলা দায়ের করে। সি.আর মামলা নং-৮৪/১৭। এলাকায় জনসাধারণের সাথে কথা বললে সত্যতা জানা যাবে।

নলবুনিয়া মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী বলেন, দশজনের জন্য কথা বলতে গিয়ে এরশাদুর রহমান(৪০),আলী আজম(৪৮),জসিম উদ্দিন(২৫),নজির আহম্মদ (৪৯),আবুল কাশেম(২৬) ও আলী আজম(৩০) মামলার আসামী হয়েছেন। এখানে তাদের কোন ব্যাক্তি স্বার্থ নেই। আনোয়ারা বেগম ও তার মেয়ে সেলিনা উছশৃঙ্খল ও ঝগড়াটে। তাদের কিছু বলা যায়না। বললে তারা সত্য মিথ্যা সাজিয়ে মানুষকে মামলা করে হয়রাণী করে। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ মে লামা থানায় আরেকটি সাধারন ডায়েরী করে। মামলা বাদী আনোয়ারা বেগম সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উক্ত জায়গা আমার।

ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, কবরস্থানের নামে ১ একর জায়গা রয়েছে। আনোয়ারা বেগমের চৌহদ্দি মতে এই জায়গা তারা দাবী করতে পারেনা। সামাজিক ভাবে আমরা বিষয়টি মিমাংসা করতে চাইলেও আবুল বশরের স্ত্রী, মেয়ে না মেনে লামা আদালতে মামলা করে।

পাঠকের মতামত: