ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পুরনোরাই কক্সবাজার বিএনপির ভরসা

bnp-coxsনিউজ ডেস্ক ::
বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছিল তা কাটিয়ে উঠতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিগত নির্বাচনের ভুল শোধরাতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে দল গোছাচ্ছেন তারা। নির্বাচনের অংশ হিসেবে প্রত্যেক জেলায় জেলায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সভা-সমাবেশ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরই মধ্যে দলের অনেক হাইকমান্ডের নেতারা প্রত্যেক জেলায় জেলায় যাচ্ছেন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলছেন। নির্বাচনের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে কক্সবাজারে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা বিএনপি। এতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাসির উদ্দিন।অনুষ্ঠিত ওই প্রতিনিধি সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।এতে কক্সবাজারের ৪টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রে লবিং তৎবির শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যে।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া)

এ আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে।কারণ এ আসন থেকে নির্বাচন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ আসন থেকে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার সময় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ সংসদে যান এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। সাবেক এ যোগাযোগ মন্ত্রী যদিও নবম সংসদ নির্বাচনে এক-এগারর সময় দেশের বাইরে থাকায় তার বউ হাসিনা আহমেদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেন এবং এমপি নির্বাচিত হন। এ আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা ভোটে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমপি হয়ে সংসদে যান। এবার বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সে সুযোগ থাকছে না বলে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য এ আসনে মনোনয়ন যিনিই পান নির্বাচন করেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হবে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া)

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে মাঠ দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জনগণের মন জয়ে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পিছিয়ে নেই দলীয় টিকেটের লবিংও। বৃহৎ এ রাজনৈতিক দল বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন ধানের শীষ টিকিটে দুইবার নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।জেলা রাজনীতির গ্রুপিংয়ের কারণে ‘অশ্বনি সংকেত’থাকলেও জনগণের কাছে অধিক জনপ্রিয় এই নেতা।এছাড়াও বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গুঞ্জন উঠেছে কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরীর নামও। তিনিও ওই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে একবার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু)

এ আসনের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল।সদর-রামু আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।বিগত নবম সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার সময়ও এ আসনটি বিএনপির ঘরে থেকে যায়। পরে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় এ আসন দখল করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি থেকে লুৎফুর রহমান কাজল এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তিনি দলের দুঃসময়ে ২০০৮ সালে ধানের শীর্ষ প্রতীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।এবং জনগন ও দলের নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে কাজলের।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ)

এ আসনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছে সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীকে।এই আসনে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন।এবং তিনি উখিয়া-টেকনাফের ৪ বারের নির্বাচিত এমপি। এ আসনে শাহজাহান চৌধুরীকে ছাড়া বিকল্প কাউকে দেখছেন না তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

পাঠকের মতামত: