রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মধ্যম নোনাছড়ি এলাকায় পাহাড় নিধন করে বসতি স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পরিবেশবিদ ও স্থানীয় সচেতন জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী বশির আহমদের স্ত্রী নুর নাহার বেগম ৫/৬ মাসপূর্বে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড়ি জমি ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকে নুর নাহার বেগম নির্বিচারে সেই পাহাড় কাটা শুরু করেন। সম্প্রতি পাহাড় নিধন করে নুর নাহার বেগম সেখানে একটি বসত ঘর তৈরী করেছেন। বসত ঘর করার পর পাহাড়টির অবশিষ্ট অংশও কাটা অব্যাহত রেখেছেন নুর নাহার বেগম।
ক্ষুব্দ এলাকাবাসী আরো জানান, এলাকার এক সাবেক মেম্বার নুর নাহারের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। সেই ব্যক্তির ইন্ধনেই নুর নাহার বেগম নির্বিঘেœ পাহাড় কাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল পাহাড় কেটে একপাশে বসত ঘর তৈরী করা হয়েছে। অন্যপাশে চলছে পাহাড় কাটার কাজ। পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে পুরো জায়গাটি সমতল করা হচ্ছে। পাহাড় কাটার কারন জানতে চাইলে নুর নাহার বেগম কোন সদুত্তর দেননি। এমনকি তিনি এ প্রতিবেদককে নিজের ও স্বামীর বিভ্রান্তিকর নাম উল্লেখ করে তথ্য দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবদুস ছালাম জানিয়েছেন, মহিলাটি তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন। ৫মাস পূর্বে এখানে এসে নুরুল হকের কাছ থেকে পাহাড়ি জমি ক্রয় করেন। সম্প্রতি প্লাষ্টিক ও টিনের ঘেরা দিয়ে কৌশলে পাহাড়ের বিশাল অংশ কেটে একাকার করেছেন নুর নাহার নামের ওই মহিলা। এভাবে পাহাড় কাটা দুঃখজনক। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করবেন বলে জানান।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড় কাটার সময় পুলিশ এসে মহিলার সাথে কথা বলে চলে যায়। তাদের ধারনা পুলিশ পাহাড় নিধনকারি ওই মহিলার কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এ এলাকাট পাহাড় কাটা নতুন নয়। দীর্ঘদিন এখানে মানুষ নির্বিচারে পাহাড় নিধন করে আসছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় কেউ এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না।
রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান জানিয়েছেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: