ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

৩১ বিজিবি’র উদ্যোগে শৌচাগার বিতরণে মহাখুশি উপজাতিরা

BGBনাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::::

সীমান্তের পাহাড়ি জনপদের পাহাড়সম সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করছেন স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি কর্তৃপক্ষ পহাড়িদের মাঝে বিনা মূল্যে লক্ষ লক্ষ টাকার ঔষধ বিতরণ সহ চিকিৎসা সেবা প্রদান,কম্বল বিতরণ,মশারী বিতরণ ও সর্বশেষ পাকা শৌচাগার নির্মানোত্তর হস্তান্তর করে আরো পাশে আসার অন্যন্য নজির স্থাপন করলেন তারা। বিজিবি’র এ ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার বাইশারীর দূর্গম ধৈয়ার বাপের পাড়া ( উপজাতীয় পল্লীতে) একসাথে ৮ টি পাকা ও আধাপাকা শৌচাগার নির্মান করে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় হস্তান্তর করেন পাড়ার নেতাদের কাছে। এতে পাড়ার সকল সদস্য মহা খুশি হয়েছেন পাকা শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায়। একইসাথে পাড়ার নাগরিক সুবিধা সহ অন্যান্য বিষয়ে আরো ব্যাপক আলোচনার জন্যে বেলা ১১ টায়এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় পাড়ার মন্দির প্রঙ্গনে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারিচ বুনিয়া ধৈয়ার বাপের পাড়া হেডম্যান মংকেয়ু কারবারী। প্রধান অতিথি ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো:আনোযারুল আজিম।

এতে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ৩১ বিজিবি নায়েব সুবেদার জেকিউএম খুরশেদ আলম,বাইশারীর চেয়ারম্যান মো: আলম কোম্পানী, ধৈয়ারপাপের পাড়ার বিশিষ্ট সমাজ সেবক নিউলং মার্মা, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ,সহ সভাপতি আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর নয়ন, তথ্য ও গভেষনা সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেস ক্লাব নেতা জাহাঙ্গির আলম কাজল, সদস্য মুফিজুর রহমান,ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রহিম প্রমূখ। সভাটি পরিচালনা করেন, স্থানীয় শিক্ষক মংলাগ্যা মার্মা।

প্রধান অতিথি লে: কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম এ সময বলেন,পাহাড়ের সব জনগনের জন্যে সরকার নানা উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নৃ-গোষ্টিার জন্যে অগ্রধিকারের ভিত্তিতে বরাদ্দ থাকে। তার পরে ও মানুষের অভাবের সীমা নেই। এ পর্যায়ে সরকারের অন্যান্য সংস্থা গুলো এগিয়ে আসেন, আন্তরিক সহায়তা করেন। আর তার ই ধারাবাহিকতায় ৩১ বিজিবি পাহাড়িদের পাশে থেকে মানবিক এসব সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সরকারী বেসরকারী সহায়তা নিয়ে জনগন ঘরে বসে থাকলে হবে না। তাদেরকে আইনী-বেআইনী বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। চাদাঁবাজ, সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সজ্বাগ থাকতে হবে। অস্ত্রধারী-জঙ্গি-মাদক ব্যবসায়ী-চোরাকারবারী ও পাহাড়ি পল্লীতে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে ঐক্যবন্ধ হতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। এ ছাড়া আরো বেশী সকল নাগরিক সুবিধা পেতে সুশিক্ষা গ্রহনে জোর চেষ্টা করে যেতে হবে। নইলে পাহাড়িরা পিছিয়ে থাকবে। মতবিনিময় সভা শেষে পরিবেশিত হওয়া উপজাতীয় নৃত্যে বিমুগ্ধ হন সকল উপস্থিত অতিথি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

 

পাঠকের মতামত: