ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রামু বাকঁখালী নদীপারে অরক্ষিত বেড়ীবাঁধ কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের খবর নেই

গোলাম মওলা রামু ::ramu

আগাম বৃষ্টি এসে আমাদের জানিয়ে দিলো বর্ষার আগমন বার্তা। গ্রীষ্মের প্রায় শেষ দিকে বর্ষা আর বেশি দূরে নয়।তাই আকাশে মেঘ দেখলেই  রামুর মানুষের মধ্যে সব সময় আতঙ্কের  মধ্যে অজানা ভয়ের আশঙ্কার দিন কাটছে। কারণ বাকঁখালীর নদী পারের সাধারণ অভাবী  মানুষ গুলো স্বচক্ষে দেখেছে বিভিন্ন সময়ে বয়ে যাওয়া প্রলংকরী ঘুর্নিঝড়ের ভয়াবহতা ও ঊজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের তান্ডব । দীর্ঘদিন ধরে রামু উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ভাঙ্গনকৃত বেড়ীবাধঁ সঠিক সময়ে মেরামত না করার কারণে বর্ষাতে একটু বৃষ্টি  হলেই নদী পারের মানুষের  দূর্ভোগ পোহাতে হয়।রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়, কখন জানি  আবার বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হবে। গর্জনিয়া,কচ্চপিয়া,কাউয়াখোপ,ফতেখাঁরকুল,রাজারকুল,  মিঠাছড়ি,চাকমারকুল ইউনিয়নের টেকসই বেড়ীবাঁধের অভাবে ঝুঁকির মুখে বসবাস করছে প্রায় ২২ হাজার পরিবার,গত বন্যায় পানি বন্ধি হয়ে পড়েছিল রামু -কক্সবাজারের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। গেল বর্ষায় নদী ভাঙ্গনের ফলে বিভিন্ন সময় বেড়ীবাঁধের বেশ কয়েকটি স্পটে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাসান আজিজ ও আব্দু রহিম জানান,অফিসের চর পূর্ব রাজারকুল সংযোগসেতুর নীচে ও উপরের অংশে ভাঙ্গন কৃত এলাকার চিত্রসহ রামু-কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এর সুপারিশ নিয়ে লিখিত দরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তা ফাইল বন্ধি করে রেখেছে।তারা আরো বলেন , টাকা খরচ না করলে অথবা টাকা না দিলে দরখাস্ত গুলো অনেক সময়  হারিয়ে ফেলে । কে শুনবে এ সাধারণ মানুষের আহজারি । আর কতবার স্থানীয় চেয়ারম্যান আর এমপি সাহেবের সুপারিশ নিয়ে  পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর দরখাস্ত করলে কাজ শুরু হবে ? বর্ষার শুরুর আগে ভেঙ্গে যাওয়া অংশসহ  বাঁধ মেরামত করা না হলে বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পুরো আরকান সড়কসহ এলাকা পানিবন্দী হয়ে যাবে। এতে রামুর হাজারো  পরিবার বিশুদ্ধ পানি সংকটসহ নানা দুর্ভোগে পড়বে। অতীতে ঘটে যাওয়া বেশ ক’টি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখলেই তা অনুমান করা যায়। অভিযোগ রয়েছে বহু বছর আগে পুরনো বাঁধটি নির্মাণের সময় কাজের গুণগত মান ঠিক ছিলনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরনো নির্মিত বেড়ীবাঁধের কমপক্ষে ১০/১৫টি স্পটে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বাঁধের আরো ৫/৬টি স্থানে আড়াআড়িভাবে মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ষা শুরুর আগে এলাকার মানুষের দূর্যোগের আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।দেখা গেছে, দূর্যোগকালীন ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বেড়ীবাঁধ নিজেই এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বেড়ীবাঁধের এ অবস্থা বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে।গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসংখ্য পরিবার এখনো ফিরতে পারেনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। তাই শীঘ্রই এলাকার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ অরক্ষিত বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করে নদী পারের সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাগবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

……………………………………………………..

রামু উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্টিত

গোলাম মওলা রামু :::

রামু উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা সহ আরো পৃথক ২টি সভা অনুষ্টিত হয়েছে।সকাল সাঁড়ে দশ টার সময় উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ জাহান আলী সভাপতিত্বে সভা অনুষ্টিত হয়। পরে ১১টার সময় একই অধিবেশনে পৃথক সভায় সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত এবং আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সভাবিক রাখা, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও আইন শৃংখলা পরিস্তিতি সমুন্নত রাখার  বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিকারুজ্জামান সহকারী কমিশনার ভূমি রামু, উপজেলা বাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, উপজেলা মহিলা বাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াছমিন, প্রভাষ চন্দ্র ধর অফিসার ইনচার্জ রামু থানা, ডাঃ সাঈদুল মোস্তাকীম মেডিকেল অফিসার উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রামু, বাকখাঁলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর্জা ফকরুল, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান রাজারকুল ইউপি জাফর আলম চৌং, রামু প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি আমীর হোছাইন হেলালী, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার মোং সাইফুদ্দিন খালেদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম কোং, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন প্রিন্স, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু,  কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহাম্মদ, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল নোমান, রশিদ নগর ইউপি চেয়ারম্যান এম.ডি শাহ আলম, ঝিনু পাল সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি রিয়াজ উল আলম বলেন, গরু চুরি, ইয়াবার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সমাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন সহ সকল স্থরের সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জনান। রামুর প্রতিটি ইউনিয়নের কমিটিতে শিক্ষক, ছাত্র, যুবক, মসজিদের ইমাম, সমাজের সরদার এবং এলাকার সৎ ও নিষ্টাবান ব্যাক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠনের উপর জোর দেওয়া হয়।তিনি আরো বলেন, তাঁর নিজের এলাকায় এ ধরণের কমিটি গঠনের ফলে সুফল পাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।

পাঠকের মতামত: