ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মেয়র বুলবুল-গউছের বরখাস্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

image_178963_0নিজস্ব প্রতিবেদক :::
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে তাদের বরখাস্ত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মেয়রের রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে আমিনুল হক হেলাল ও খন্দকার মাহবুব হোসেন দুই মেয়রের পক্ষে শুনানি করেন।
গত ১ এপ্রিল মেয়র বুলবুলকে বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই দিন জি কে গউছকেও বরখাস্ত করা হয়।
২০-দলীয় জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে নাশকতার চার মামলায় পুলিশ বুলবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৫ সালের ৭ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন বুলবুল। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছর ২৮ মে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ অবৈধ বলে রায় দেন।

প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর সোমবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরিফুল নগর ভবনে যান। মেয়রের চেয়ারে বসতে না বসতেই তিনি ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন। একই দিনে বুলবুল ও জি কে গউছও বরখাস্ত হন।  রোববার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের তিন মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মামলায় অভিযোগপত্রে তিনজনের নাম থাকায় আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এসব আদেশ তাদের কর্মস্থলে পৌঁছায়। বরখাস্তের আদেশের পর বিএনপি নেতা তিন মেয়রই দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণেই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।

পাঠকের মতামত: