ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দালালদের তালিকা প্রকাশ করল ভূমি অধিগ্রহন শাখা

আতিকুর রহমান মানিক:FB_IMG_1491218308088_1-402x540-402x540

দালালদের নাম ও তালিকা প্রকাশ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহন শাখা। একই দিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকা থেকে দুই দূর্নীতিবাজকে গ্রেপ্তার করেছে দূর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ টীম। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বাস্তবায়নাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপূরনের চেক পাইয়ে দেয়ার নামে ধান্ধাবাজিতে জড়িত ৪০ দালালের নাম-তালিকা ৩ এপ্রিল (সোমবার) প্রকাশ করা হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা আবু সালাম স্বাক্ষরিত এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বহুল আলোচিত দূর্নীতিবাজ পিয়ন ছৈয়দ নূরের নামও রয়েছে এ তালিকার ৯ নাম্বারে। জমি অধিগ্রহনের ফাইল প্রসেসিং ও ক্ষতিপূরনের চেক পাইয়ে দেয়ার নামে জমি মালিকদের হয়রানি করে আসছে এসব দালাল।
ভূক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিন অন্তত ৫০/৬০ জন দালাল ভূমি অধিগ্রহন অফিস ঘিরে রাখে। বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে জমি মালিকদের হয়রানি করে এরা। এ নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে আবশেষে দালালদের নাম-তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। তালিকাভূক্ত দালালদের মধ্যে রয়েছে মোঃ রফিক প্রকাশ ভেন্ডার রফিক, শওকত ইকবাল মুরাদ, সাহাব উদ্দিন, সানা উল্লাহ, রনি, হেলাল, খোরশেদ আলম, ফজল কাদের, আমির খলিফা, আলি মিয়া, শাহাদত হোসাইন, ছৈয়দ নুর, আবুল কাশেম, মৌলভী বশর, নুরুল আবচার, আবু ছালেক, হাজি ফরিদ, মো.মামুন, হেলাল উদ্দিন, মোস্তাফিজ,  হোছাইন, আরেফ আলী, আবুল হাশেম, সাদ্দাম হোসাইন, হাজী ছৈয়দ, নুরুল আবছার, শফিক, খোরশেদ আলম, আমান উল্লাহ, মো. ইব্রাহিম, সোহেল, আবদুল মতিন, আছাদ উল্লাহ, মৌঃ হাবিবুর রহমান, রিদুয়ান, সরওয়ার, দিদার, চট্টগ্রামের মুছা, ঢাকার মিঠুন, আহাদ, উখিয়ার হেলাল উদ্দিন ও বশর। এদের মধ্যে কয়েকজন ২৩ কোটি টাকা লোপাটে জড়িত রয়েছে। ক্ষতিপূরনের টাকা সুষ্ঠুভাবে গ্রহন ও প্রদানের জন্য দালালদের মাধ্যমে যে কোন ধরনের সেবা গ্রহনের বিষয়ে ভূমি মালিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা আবু সালাম।

তিনি আরো জানান, নিজের কাজ ব্যতীত অন্যকারো কাজ নিয়ে অফিসে এবং অফিসের বারান্দায় আনাগোনা করলে তাদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, দালালের খপ্পরে না পড়ার জন্য বার-বার সবাইকে বলা হচ্ছে। যেকোন অভিযোগ তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সরকারী অফিস মানুষের সেবার জন্য। হয়রানী বা অনিয়ম কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কেউ অভিযোগ করলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: