ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কে আবর্জনা, মশা মাছির উপদ্রব

আবদুল করিম বিটু, চকরিয়া::cm. dre

চকরিয়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র হচ্ছে চকরিয়া পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটি দাপে দাপে এ গ্রেডে অবস্থানে রয়েছে। এ পৌরসভায় রয়েছে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অফিস, আদালত। রয়েছে বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রয়েছে সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতাল ও প্যাথলজি সেন্টার। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টানের পাশাপাশি রয়েছে কয়েকটি কিন্ডার গার্ডেন। মসজিদম মাদ্রাসা, ধর্মী উপশানালয়সহ মানুষের প্রয়োজনীয় ৩শতাধিক ফার্মেসী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চকরিয়া পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ সড়ক সংস্কার হয়নি। সড়কের ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করেন না পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। মশার উপদ্রব, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা, সড়ক গুলোতে পর্যাপ্ত বিদ্যুতিক লাইটসহ রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা।

বেশীর ভাগ সড়কে ব্যবসায়ী ও বাসা বাড়ির লোকজন নির্দিষ্ঠ স্থানে ডাষ্টবিন না থাকার কারণে ময়লা আবর্জনা গুলো সড়কের যে কোন স্থানে ফেলে যায়। এতে ময়লার স্তুপে পরিনত হয়ে দূরর্গন্ধ ছড়িয়ে বেড়ায় প্রতিদিন। চকরিয়া ওয়াপদা রোর্ড,বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, কোরক বিদ্যাপীঠ সড়ক হয়ে হিন্দু পাড়া পর্যন্ত সড়ক গুলো চিত্র কালের স্বাক্ষী।

ময়লা আবর্জনা পরিস্কারকারী দল যথা সময়ে ময়লা পরিস্কার ও পরিস্কার করা ময়লা যথা সময়ে না সরানোর কারনে মশা,মাছির বংশ বিস্তার লাভ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গাই হানা দিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে মশা, মাছি বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের উপর হামলা করে। এসব খাবার লোকজন খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পৌর সভার দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেরা সুধু অফিস হাজিরা দিয়ে গেলেও খবর রাখছেনা কেউ নিজের কর্মের প্রতি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, একটি এ শ্রেনীর পৌরসভা যদি এভাবে নোংরা আবর্জনায় ডেকে থাকে তা হলে সিটি হলেত আরো নোংরায় পরিনত হবে। পৌর কর্তৃপক্ষ যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে কক্সবাজার জেলার পর্যটন নগরীর প্রবেশদ্বার চকরিয়া পৌরসভার সুন্দর্য্য ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

পাঠকের মতামত: