ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় নজির বিহীন দূর্নীতির ঘটনা: আধা কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজে বরাদ্দ ২৩লাখ!

ডডডডমুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এলজিইডি নিয়ন্ত্রিত সড়কের কার্পেটিং কাজে সরকারী অর্থ বরাদ্দ নিয়ে নজির বিহীন অনিয়ম ও দূর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে তোলপাড়ও সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র আধা কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩ লক্ষাধিক টাকা! আর তৃপ্তির ঢেকুর তোলে সংশ্লিষ্ট টিকাদার ওই সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে সড়কের ম্যাকাডমের কাজ চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট পেকুয়ার এলজিইডির কর্মকর্তারা অনিয়ম ও দূর্নীতি বন্ধে কোন ধরনের উদ্যোগ নেননি। উল্টো টিকদারের সাথে আঁতাত করে দায়সারাভাবে ওই সড়কের কাজ করে সরকারী বরাদ্দ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য অপপচেষ্টা শুরু করেছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।

 প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইউডি) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় গত ২০১৬ ইংরেজীর শুরুতে পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় সড়কের রাজাখালী ইউনিয়নের দরবার সড়কের ৩৮৪ মিটার (আধা কিলোমিটার) কার্পেটিং কাজের জন্য ২৩লাখ ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহবান করে। পরে কাজটি বাস্তবায়নের জন্য এলজিইউডি কর্তৃক কার্যাদেশ পান চকরিয়ার কে আর বিল্ডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। ওই প্রতিষ্টানের সত্তাধিকারী হলেন মো. খলিলুর রহমান। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য এলজিইউডি থেকে ৪৫ দিন সময় নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাজ বাস্তবায়ন না করায় গত এক বছরেও কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু গত এক মাস পূর্বে ওই সড়কের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। আর কাজের শুরতেই অত্যন্ত নিন্মমানের ইটের খোয়া দিয়ে দায়সারাভাবে ম্যাকাডমের কাজ শেষ করেছে। এখনো কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করেনি। কার্পেটিংয়ের কাজ শুরুর পূর্বে মানসম্মত ইটের খোয়া দিয়ে ম্যাকাডামের কাজ করার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজাখালী দরবার সড়কের ওই অংশে অত্যন্ত নিন্মমানের ইটের খোয়া দিয়ে ম্যাকাডমের কাজ করা হয়েছে। নিন্মমানের ইঠের খোয়া দিয়ে কাজ করায় স্থাণীয়রা ঠিকাদারের লোকজনকে প্রথমে কাজে বাধা দেয়। এসময় ঠিকাদার ও তার লোকজন স্থানীয়দের নানাভাবে হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়রা আর প্রতিবাদ করেনি।

এ ব্যাপারে জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই সড়ক সংস্কারে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছেনা বলে দাবী করেছেন। তিনি বলেন‘ শিডিউল মেনেই কাজ করছেন। অনিয়মের প্রশ্নই আসেনা।

এলজিইডির পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাঠকের মতামত: