ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁও বাজারের লোকজন সুখে নেই

মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার::

ঙঙঙঙঙঙকক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে আগত লোকজন সুখে নেই। বাজারে রাস্তা খোঁড়াখুড়ি, যত্রতত্র ইট, বালি, কংকর মজুদ, প্রচন্ড ধুলিবালি, অসহনীয় যানজট ও বিরক্তিকর লোডশেডিঙের কারণে তাদের সুখ হারাম হয়ে গেছে। বাজারবাসী এ অবস্থা থেকে শীঘ্রই পরিত্রাণ পেতে চায়। সরেজমিন দেখা গেছে, সম্প্রতি দ্বিতীয় দফে ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ডিসি রোডের নুরুল কবিরের রাইচ মিল সংলগ্ন স্থান থেকে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এ পর্যন্ত ডাক্তার মোহাম্মদ আলমের হোমিও চেম্বার পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে। সংস্কার কাজের জন্য কাজ করছে ডজন সংখ্যক শ্রমিক। এতে ডিসি রোডের দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর বিরাটকায় সোজাসুজি গর্ত টানা হয়েছে। গর্তের মাটি রাখা হয়েছে সড়কের উপরে। আবার সেখানে নির্মিতব্য সাইড ওয়ালের ইট, কংকর, সিমেন্ট ইত্যাদিও যত্রতত্র রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রয়েছে একাধিক স্থানে ব্যক্তিগত ভবন নির্মাণের জন্য মজুদকৃত নির্মাণ সামগ্রী। সড়ক সংস্কারের বিরক্তির পাশাপাশি নির্মাণ কাজ, এলাকার ধুলিবালি ও বিকল্প সংকীর্ণ সড়কে অসহনীয় যানজটের নিত্যকার চিত্র। ডিসি সড়কে সংস্কারের কারণে যান চলাচল নেই বললেই চলে। বিকল্প সড়ক হিসাবে এখন ছোটখাট যানবাহনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বাজারের কালিবাড়ির সম্মুখস্থ পুরনো হাসপাতাল সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে রিক্সায় কিংবা হেটে চলাচল করা দায় হয়ে উঠেছে। যানজটের কারণে বাজারে আগত লোকজদের পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা। এতে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবান কর্মঘন্টা। সাধারণ রোগী পরিবহন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রখর রোদ্রে দীর্ঘক্ষণ সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মানুষের দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়। ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বিশিষ্ট রাজনীতিক মো. শওকত আলম জানান, রাস্তার উন্নয়ন চলছে ভাল কথা। তবে এটা এমন সময় করা হচ্ছে যখন হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ডিসি সড়ক অতিক্রম করে স্থানীয় বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তিনি প্রথম দফের সংস্কার কাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, রোজা ও প্রবল বৃষ্টির সময় ঐ কাজ করায় পুরো বাজারবাসীকে মাসের পর মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল। স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের জেলা শাখার সদস্য জানে আলম জানান, দ্বিতীয় দফের সংস্কার কাজ পরীক্ষার পরে করলে ছাত্রছাত্রীদের এত ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও স্বস্তিতে থাকতেন। বাজারের পুরনো ব্যবসায়ী আবদুচ ছালাম জানান, ঠিকাদারদের খামখেয়ালীপনায় পুরো বাজারবাসীকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। পাশর্^বর্তী দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্যও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও পরীক্ষার্থীরা জানান, দিন ও রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পড়ালেখা লাটে উঠছে। বিদ্যুৎ নির্ভর যে সমস্ত দোকান পাট রয়েছে সেগুলোতে কাস্টমারের দেখাই মিলছে না।

পাঠকের মতামত: