ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যাবে- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

10-02-2017-1_1কুতুবদিয়া প্রতিনিধি ::::

আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছে। আগামী অর্থ বছরে এ দ্বীপের বিদ্যুতের চাহিদা পুরণ করে উৎপাদিত উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যাতে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে সেজন্য আরো পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা হবে।এতে করে  কুতুবদিয়া দ্বীপের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। শুক্রবার (১০ ফেব্র“য়ারী) সকাল সাড়ে ১১টায় তাবলেরচর গ্রামে স্থাপিত এক মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন কালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রি নসরুল হামিদ বিপু এ কথাগুলো বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবির) চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানী অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমদ জহির খান, কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, পিডিবির চট্টগ্রাম বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল আলম, পিডিবির কক্সবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য মাষ্টার আহমদ উল্লাহ, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, ইউএনও সালেহীন তানভীর গাজী, কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফুরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সমবায় বিষয়ক সম্পদক খোরশেদ আলম কুতুবী, কুতুবদিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর,সাধারণ সম্পাদক ,আলী আকবর ডেইল ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা নুরুচ্ছাফা বিকম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুতুবদিয়া উপজেলা শাখা আহবায়ক শফিউল আলম, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খোরশেদ আলমসহ জেলা, উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে প্রকাশ, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নস্থ তাবলেরচর গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি টারবাইন (বায়ুকল) বিশিষ্ট ১০০০ কিলোওয়াট (এক মেগাওয়াট) ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্প স্থাপন করা হয়। প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখার আগেই ২০১০ সালে জলোচ্ছাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক কামাল ইবনে আব্দুল বারী জানান, দীর্ঘ ৬ বছর বন্ধ থাকার পর গত ২০১৬ সালে জোড়াতালি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে দৈনিক ২/৩ ঘন্টা স্থানীয় আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করছে। একই বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড ঠিকাদার পূর্বের বাযুবিদ্যুৎ প্রকল্পের পাশ্ববর্তী এলাকায় গত ২০১৬ সালে ২৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি নতুন আঙ্গিকে ২০টি টারবাইন (বায়ুকল) দিয়ে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বলে জানান, প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড ঠিকাদার প্রকৌশলী ফজলুর রহমান।

পাঠকের মতামত: