ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নতুন আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি হবে ৬ মাসের মধ্যে

ruhinga-ডেস্ক নিউজ:

রোহিঙ্গা শুমারিগত বছরের অক্টোবর মাস থেকে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর হামলার কারণে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তাদের তালিকা দ্রুত শেষ করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে। অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের জন্য গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের এক সভায় এ তাগিদ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় টাস্কফোর্সের ১২তম এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রিপরিষদ, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের জরিপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১৫ সালে। গত বছর জুন মাসে এ জরিপ শেষ হয়।’
এরপর অক্টোবর মাসে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী হামলা শুরু করলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন করে যারা পালিয়ে এসেছে তাদের তালিকা করার জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের এ জরিপ শেষ করতে হবে।’ তিনি আরও জানান, প্রথম জরিপটি ছয়টি জেলায় পরিচালিত হয়। কিন্তু এবারের জরিপটি কক্সবাজার, চিটাগাং ও বান্দরবানে পরিচালিত হবে।
টাস্কফোর্সের সভার আলোচ্যবিষয় প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আজকের (বৃহস্পতিবার) সভায় এর আগের ১১টি টাস্কফোর্সের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেগুলো মূল্যায়ন করা হয়। এছাড়া সীমান্ত পরিস্থিতি বিষয়ে বিভিন্ন বাহিনীর কাছে জানতে চাওয়া হয়।’ রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা কমলেও বাংলাদেশ সীমান্ত আগের মতো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কড়া নিরাপত্তা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিপরিষদের এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার শরণার্থী ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের বিষয়ে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এ বছরের ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র সচিব এই টাস্কফোর্সের সভাপতি হবেন এবং এর মোট সদস্য সংখ্যা হবে ৩০ জন।
এ টাস্কফোর্স রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন, তাদের মৌলিক চাহিদা সংস্থান, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণ, কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা ইত্যাদি কাজ করে থাকে।

পাঠকের মতামত: