ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা একজনের নামে, সোর্স দেখিয়ে দিল অন্যকে ।। নিরীহ ব্যক্তিকে ‘বন্দুকের বাট দিয়ে পিটালো’ পুলিশ

policeচকরিয়া প্রতিনিধি ।।

চকরিয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে আটকের পর বন্দুকের বাট দিয়ে এক ব্যক্তিকে পুলিশ বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম নাম মিনার উদ্দিন জিকু (২৮)। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে ঘটনার সময় পুলিশের সঙ্গে থাকা বেলাল উদ্দিন নামে কথিত এক সোর্সকেও উত্তেজিত জনতা ধাওয়া দিয়ে গণপিটুনি দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সুরাজপুরমানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজিমুল হক আজিম গুরুতর আহত দুইজনকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘পুলিশের সোর্স বেলাল উদ্দিন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিনার উদ্দিন জিকুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে পুলিশকে দেখিয়ে দেয়। পুলিশ ধরতে গেলে জিকু দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে ধরে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটায়। ৯ম পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ

একই সময়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের সোর্স বেলালকে গণপিটুনি দেয়। এতে দুইজনই গুরুতর আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।’

জিকুর ছোট ভাই মিনহাজ উদ্দিন জানান, তার ভাই রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে সংসার চালায়। সোমবার রাত আটটার দিকে মাঝের ফাঁড়ি এলাকায় একটি দোকানে বসে সে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় বেলাল তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে পুলিশকে দেখিয়ে দেয়। মিনার উদ্দিন জিকু উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি গ্রামের বশির আহমদের পুত্র। আর বেলাল উদ্দিনও (৩৫) একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে।

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত ওসমান বলেন, ‘পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে এই লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে। এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করলে পালাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়।’

তবে অভিযানে যাওয়া চকরিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, সুরাজপুরমানিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সুরাজপুর গ্রামের জনৈক আলীমের বিরেুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। এই পরোয়ানা হাতে নিয়ে তাকে ধরার জন্য যাওয়ার সময় কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি এলাকায় জিকু নামের এক ব্যক্তি দৌড় দেয়। এতে সন্দেহ হলে তাকে ধরার চেষ্টা করার সময় পুলিশকে বহনকারী অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সে আহত হয়। তাকে বন্দুকের বাট দিয়ে পেটানোর অভিযোগ সত্য নয়। এমনকি বেলাল নামের কোন ব্যক্তি সোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে ছিল না। আর এ ঘটনায় পুলিশের কোন সদস্যও আহত হয়নি।

 

পাঠকের মতামত: