ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেলা পরিষদ নিবার্চনেও ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র !

কক্সবাজার প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার জেলা পরিষদ নিবার্চনে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের শঙ্কায় রয়েছেন সাধারন সদস্য প্রার্থীরা। দলীয় প্রভাব কাটিয়ে ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী নেতারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ইতিমধ্যে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তাদের অভিযোগ সরকার দলীয় প্রার্থীরা দলীয় প্রভাব কাটিয়ে ভোটারকে বাধ্য করতে পারে। এতে তাদের পছন্দমত ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচন করেছেন। এইসব কেন্দ্রগুলো পরিবর্তনেও দাবী ওঠেছে একাধিক সাধারণ সদস্য প্রার্থীর তরফ থেকে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয় এইসব আবেদন জমা পড়লেও এটি নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সাথে আলোচনা করে সিন্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন।jela-p

জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার ৩নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য প্রার্থী জাপা নেতা আজিজুল হক আজিজ। জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহেশখালী উপজেলায় ৩নং ওয়ার্ড থেকে ঘোষিত বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ। এটির পবিবর্তন না হলে ভোটের দিন যে কোন ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং আরো বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এই জাপা নেতার দাবী সরকারকে বেকাদায় ফেলার জন্য এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার জন্য একটি কুচক্রিমহল তৎপর রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক সদস্য প্রার্থী জানান, এখন থেকে সরকারদলীয় প্রার্থীরা ভোটারদের নানা কায়দা কৌশলে তাদেরকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। সুষ্ট অবাদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

দেশে প্রথম জেলা পরিষদ নির্বচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারে বেশ কিছু দিন থেকে মাঠ রয়েছে বরাবরে সরগরম। প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জেলায় ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৩জন। তার মধ্যে কক্সবাজারে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২ জন। সাধারণ সদস্য পদে লড়ছেন ৫৪ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা পদে লড়ছেন ১৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী ১জন এবং সাধারণ সদস্য ২জন বিনাপ্রতিন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

পাঠকের মতামত: