ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার মালুমঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৪, আহত ১৬

acccসাবিনা ইয়াসমিন. নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস ও ম্যাজিক (ছাড়পোকা) গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়েসহ চার যাত্রী নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রিংভং ঢালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মহেশখালীর কুতুবজুম ৪নং ওয়ার্ডের মকতুল হোসেনের ছেলে মো.কালু (৪২), তার মেয়ে রীনা আক্তার (১১), একই এলাকার সবুর আহমদের স্ত্রী কালা খাতুন (৫০) ও চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মো.ইলিয়াছ খানের ছেলে মো.আলী রিয়াজ রায়হান খান (২৩)।

নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে ও শিশু রীনা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। এসময় অন্তত ১৬ যাত্রী আহত হয়েছে। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা খামার পাড়ার আবুল হাসেমের পুত্র নজরুল ইসলাম (২৪), বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালীর হারগাজার আলী হোসেনের পুত্র হেফাজ উদ্দিন (১২), চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার মাইজপাড়ার নুরুল আলমের পুত্র জৈনবুন্নেছা (১৯) ও নুরুল হোছাইনের কন্যা নূরী জন্নাত (১৯), মাহিন্দ্রা চালক খুটাখালীর মেদাকচ্ছপিয়া সাতগরিয়া গ্রামের মৃত গোলাম আলীর পুত্র বদি আলম (৫০)। এছাড়া নিহত কালুর পুত্র সাহেদুল ইসলাম (৭), শিশু সাকেরা বেগম (৮) ও খাইরুন নেছাসহ (৩০) অন্তত ১০ জন আহত হয়। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি মো.আশিকুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ঢালা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী যাত্রীবাহি ম্যাজিক গাড়ি (ছাড়পোকা) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহিলাসহ তিনজন মারা যায়। আহত হয় ১৬ জন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। তন্মধ্যে মালুমঘাট হাসপাতালে নেয়ার পর ঘটনাস্থলে নিহত মো.কালুর শিশু কন্যা রীনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ম্যাজিক গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে ও বাসটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তবে ম্যাজিক গাড়ির চালক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও যাত্রীবাহি সৌদিয়া গাড়ির চালক-হেলপার পালিয়ে গেছে।

পাঠকের মতামত: