ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে ৫ জয়িতা বাংলার নারী সংবর্ধিত

qqqqসোয়েব সাঈদ, রামু ::::

রামুতে আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রামু উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায় ৫ জয়িতা বাংলার নারীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেছেন, বর্তমান সরকার নারীবান্ধব এবং নারী ক্ষমতায়নে বদ্ধ পরিকর। নারী এগিয়ে যাচ্ছেন স্বমহিমায়। বিশ্বনেতৃত্ব এখন নারীদের হাতে। আধুনিক এ সমাজের কুসংস্কার ও কুপমন্ডুকতা দুরীভূত হয়েছে। নারীদের এখন আকাশে ডানা মেলে উড়ার সময় এসেছে।

নারী পুরুষের বৈষম্যহীন সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার অবদান জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় প্রেরণা যোগাবে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাজান আলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম। অনুষ্ঠানে রামু কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হক, সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, রামু থানার এসআই মুকিবুল হোসেন, ইউপি সদস্য লায়লা বেগম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির কর্মকর্তা মো. রাফুল আমিন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রামু উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার মুহাম্মদ আবু বক্কর।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হাসিনা আকতার মেম্বার, সফল জননী নারী মালঞ্চ বড়–য়া, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী টুম্পা রাণী শীল, নারী নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন অর্জনকারী ফাতেমা বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ইউপি সদস্যা লায়লা বেগম কে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। এতে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশ নেন।

 

 

পাঠকের মতামত: