ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জেলা পরিষদ নির্বাচন: কক্সবাজারকে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড বানাতে চায় ফয়সাল সিদ্দিকী

faysal-siddkyমিজবাউল হক, চকরিয়া:

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে জেলার প্রবীণ ও নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সাল সিদ্দিকী। ফয়সাল সিদ্দিকী ছাত্রলীগ কর্মী হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাজ্য থেকে আইন বিষয়ে পড়া লেখা করে বর্তমানে দেশে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি মনে করেন কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য তরুণ, মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষিত নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। তরুণ আইনজীবী হিসেবে যেমন মানুষের আইনী অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন, তেমনি মানবাধিকারের জন্য বিশ্বব্যাপী এমনেষ্ঠী ইন্টারন্যাশনাল (ইউ) কে সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন ২৮ডিসেম্বর’১৬ইং কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ায়রম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার দফতরে আবেদন জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দীর্ঘদিন লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়াশুনা কালীন সময়ে তিনি স্বপ্ন দেখেন প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব এবং তারুণ্যের সৃজনশীল কার্যক্রম এর মাধ্যমে কক্সবাজারকে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি মনে করেন, বিগত বিশ বছরে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ যেভাবে জনগণের দৌড় গোড়ায় পৌছানোর প্রয়োজন ছিল কিন্তু তা হয়নি। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জন ও নেতৃত্বে বিশাল উন্নয়ন কার্যক্রম কক্সবাজার জেলাকে সিঙ্গাপুরের কাতারে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারের আওয়ামী পরিবারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিগণ জনগণের কাছে এর সুফল পৌছে দিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। কক্সবাজার জেলায় স্বাধীনতার পর থেকেই সংসদীয় আসনে আমরা বার বার ব্যর্থ হয়েছি। জেলায় চারটি আসনের মধ্যে বার বার আমরা দুই থেকে তিনটি আসন হারিয়েছি। এ থেকে উত্তোরণের জন্য জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহায়তা নিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সমূহে চৌকস ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাধারণ জনগনের সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাথে সংযুক্ত করতে পারলেই ভিশন ২০৪১ সাল কক্সবাজার জেলায় শত ভাগ সফল করা যাবে এবং কক্সবাজারকে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত: