ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মামলা করে বিপাকে বাদি আসামিদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ!

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়ায় বসতবাড়িতে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর থানায় ৯জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পুর্ব নুনাছড়ি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন। পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামি আব্বাস উদ্দিন ও মোহাম্মদ রহিমকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখনো এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে এজাহারনামীয় অপর ৭ আসামি।

মামলার বাদি গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, মামলার এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিরা এলাকায় বহাল তবিয়তে থেকে তাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাদের কথা মতো মামলা তুলে না নিলে ফের তার পরিবারের ওপর বড় ধরণের ঘটনা করা হবে এমন হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থার কারনে বাদি ও তার পরিবার সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন গিয়াস উদ্দিন।

মামলার আর্জিতে বাদি গিয়াস উদ্দিন দাবি করেন, তিনি একজন মৎস্য চাষী। এলাকায় পদ্ধতির মৎস্য চাষ করে তিনি পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ১১ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে সুযোগে দুপুরে ১৪-১৫জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তার বাড়িতে হানা দেয়। ওইসময় তার মা মমতাজ বেগম কি কারনে তার বাড়িতে ঢুকেছে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আসামিরা হাতে থাকা বন্দুকের বাট দিয়ে তাকে (মমতাজ বেগমকে) মাথায় আঘাত করে। ঘটনা দেখে মাকে উদ্ধারে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার এগিয়ে আসলে ওইসময় হামলাকারী দুর্বৃত্তরা তাকেও শাররীকভাবে বেধম মারধর করে। ঘটনার এক পর্যায়ে দুই মহিলাকে মারধরের পর বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্তরা আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৩৮ হাজার টাকা দামের একটি ল্যাপটপ ও ৩৩ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায়।

বাড়ির গৃহকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘটনার পরপর মসজিদ থেকে জুমার নামাজ পড়ে পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ফিরে ঘটনাটি দেখে আহত দুই মহিলাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর গত ১৩ নভেম্বর বাড়িতে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫-৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা (নম্বর ২২) দায়ের করেন।

মামলার বাদি গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে ইতোমধ্যে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখনো এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে মামলার অপরাপর সাত আসামি সাইফুল আলম বাবু, জাকের হোছন, আরিফ উদ্দিন, রাশেদ, মাইমুনুল ইসলাম ওরফে মনিক্যা, শাহেদ ও মিসকাত। তাঁরা বর্তমানে মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থার কারনে বাদি ও তার পরিবার সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন গিয়াস উদ্দিন।

পাঠকের মতামত: