ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ডেপুটেশন বাণিজ্য

কক্সবাজার  প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মৌখিক আদেশ ও নিয়ম বর্হিভুত ডেপুটেশন দিয়ে আয় করছেন মোটা অংকের টাকা। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ বিভিন্ন ঠেকিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগে হয়রানির শিকার শিক্ষকরা  শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ রয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুল হক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নানা অনিয়মে সহযোগিতা করছেন।
উখিয়ার গয়াল মারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, নলবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ বড়–য়া ও রত্মাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নোমান কর্তৃক দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানান, টেকনাফ উপজেলার রঙ্গিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, ফারহানা আকতার, ও নুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। তারা বিভাগীয় মামলার বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য জেলা অফিসে হাজির হলে তাদের চাকুরী থেকে চড়–ান্ত ভাবে বহিস্কারের হুমকি দেন। পরে তিনি জনপ্রতি ১ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে চাকুরী রক্ষার স্বার্থে তিন জনের মিলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে মামলা তুলে নেওয়া হয়।
এ ছাড়াও হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রবিনের বিরুদ্ধে সিএল সংক্রান্ত ছুটি নিয়ে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মামলা থেকে রেহাই পান ওই শিক্ষক।
পরীক্ষা বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোন নির্দেশনা না থাকলেও তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ পরীক্ষার প্রশ্ন বাবদ ৪ টাকা করে আদায় করেছেন। যা চলতি সময় পর্যন্ত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
টাকার বিনিময়ে মৌখিক ডেপুটেশনে বদলীর করার অভিযোগ অসংখ্য। এতে মহেশখালীর হোয়ানক ডেইল্যাঘোনা সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নেচার উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও টেকনাফের ফারহানা, জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষককে পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ডেপুটেশনে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে পোস্টিং বাণিজ্য, ওয়াশ ব্লকে অনিয়ম, স্লীপের বরাদ্দকতৃ টাকা, শিক্ষা সমাপনী মডেল টেস্টে অনিয়ম, বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্ণমেন্টের আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে দেওয়া অভিযোগে।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম ছিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা অভিযোগ করছে তাদের আমার সামনে নিয়ে আসেন। আমি ফকিরের পোলা নই। আমার ছেলে হাইকোর্টের ব্যারিষ্টার। যে অভিযোগুলো করা হয়ে তা আমার দায়িত্বে নয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা এ সব অভিযোগের দায়িত্ব নেবে। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টের সভাপতি জেলা প্রশাসক। সভায় যেভাবে রেজুলেশন হয়েছে সেভাবেই টুর্ণামেন্ট হয়েছে। কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। যাদের মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাও সত্য নয়। সব মামলাই নিষ্পত্তি হয়েছে।

পাঠকের মতামত: