ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০ কোটি টাকার কাজ বিনা টেন্ডারে হাতিয়ে নিয়েছে প্রভাবশালী ঠিকাদাররা

oniyom durnitiবশির আল মামুন, কক্সবাজার :::

কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অদিপ্তরের অধিনে জেলান ১০ টি শিক্ষপ্রতিষ্টানের উন্নয়নে গৃহীত ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালী ঠিকাদার বিনা টেন্ডারে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী সমির কুমার রাজ্জাক দাশ ২০ লাখ টাকার আর্থিক সুাবদা নিয়ে ওই কাজ গুলি তার পছন্দের ঠিকাদারদেরকে পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেনে স্বয়ং কক্সবাজার ও চকরিয়ার ঠিকাদাররা।ফলে ঠিকাদাররা প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে টেন্ডারে অংশ নিতে না পারায় সরকারের কোটি টাকা ও লোকসান হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। এ ঘটনায় জেলার ঠিকাদারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।যে কোন মহুর্তে তারা আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় টিকাদাররা অবিলম্বে এই টেন্ডার বাতিল করে নতুন ভাবে টেন্ডার আহব্বান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর শা¯িত দাবি করে ইাতমধ্যে ঠিকাদারেরা শিক্ষা মন্ত্রী,শিক্ষা সচীব, দুদক সহ সংশ্লিষ্ঠ উধ্বর্তন কতৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

চকরিয়ার ঠিকাদারদের অভিযোগে জানাগেছে শিক্ষা মস্ত্রনালয়ের অধিনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে সম্পূর্ণ সরকারী রাজস্ব অর্থায়নে কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের নতুন একাডেমিক ভবন নিমার্ণ ,মেরামত ও উন্নয়নের জন্য টেন্ডার আহবান করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছ থেকে।কাজ গুলি হল টেন্ডার নং-৪, কুতুবদিয়া কলেজের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান সাড়ে ৪ কোটি টাকা, চকরিয়া কলেজ ও বদরখালী কলেজের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা করে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। টেন্ডার নং-৫, কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনিষ্টিটিউটের অধ্যক্ষের বাসভবন মেরামত ৬লাখ ৮০ হাজার টাকা,ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মেরামত ৫ লাখ টাকা, পালাকাটা হাইস্কুলের একাডেমিক ভবন মেরামত ৫ লাখ টাকা,কুতুবজুম হাই স্কুলের একাডেমিক ভবন মেরামত ৫ লাখ টাকা ও মহেষখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন মেরামত ৫ লাখ টাকা।টেন্ডার নং-৬, কক্সবাজার টিএমসি গালর্স হাইস্কুলের নতুন ভবন নির্মান ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। টেন্ডার নং-৭, ঈদগা আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আসবাব পত্র সরবরাহ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

দেখাগেছে প্রতিটি কাজ বা টেন্ডারের বিপরীতে ৩০ থেকে ৪০ টি সিডিউল বিক্রয় হয়েছে। দরপত্র মোতাবেক ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে টেন্ডার ওপেনিং এর দিন ছিল।কিন্তু দেখাগেছে ওইদিন কোন টেন্ডার বা সিডিউল ঠিকাদারদের সম্মূখে খোলা হয়নি। কোন লটারি ও হয়নি।

পরে খবর নিয়ে জানাগেছে নির্বাহী প্রকৌশলী সমির কুমার রাজ্জাক দাশ তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সুবিদা নিয়ে ওই কাজ গোপনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে দেন।

এতে ঠিকাদারেরা প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে দরপত্রে অংশ নিতে না পেরে সরকারের কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে এ নিয়ে জেলার ঠিকাদারেরা আন্দোলনে যাওয়ার ও হুমকি দিয়েছে। তাদের মধ্যে এখন চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ গোপন টেন্ডার বাতিল করে নতুন ভাবে টেন্ডার আহব্বানের দাবী জানিয়েছে সরকারের সয়শ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের কাছে।

এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সমির কুমার রজ্জাক দাশের সাখে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: