ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা

mamla-300x160পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরীপাড়া এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় আদালতে রুজু করা হয়েছে মামলা। বাড়ির মালিক ওই এলাকার তোফাজ্জল আহমদের ছেলে ব্যবসায়ী শাহআলম বাদি হয়ে গত ১৮অক্টোবর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে উপকুলের দুর্ধর্ষ ত্রাস, হত্যা, ডাকাতি, মানবপাচার, চাঁদাবাজিসহ ডজন মামলার আসামি জাকের হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০জনকে অজ্ঞাত করে ওই মামলাটি রুজু করা হয়। মামলাসুত্রে জানা গেছে গত ১২অক্টোবর রাতে স্বসস্ত্র ডাকাতদল শাহআলম মাঝির বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা,স্বর্নালংকার ও মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা শাহআলম মাঝির স্ত্রী হাজেরা খাতুন প্রকাশ পাখি, মেয়ে আজগরীয়া মেহেরুল উলুম মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী জেসমিন আক্তার, ছেলে জুনাইদ আকবরীকে মারধর করে আহত করে। ডাকাতদলের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাদেরকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তিনদিক থেকে জনতা তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এ সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ ও ভীতি ছড়াতে ডাকাতরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় মৎস্য ঘেরের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তারা। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সুত্রে আরো জানা গেছে ওই ঘটনার ৫দিন পর ডাকাত সর্দার জাকের হোসেনসহ আসামিরা ফের বাদির বাড়িতে হানা দেয়। তারা ওইদিনের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফের হামলা চালায়। হামলায় ভিকটিমসহ শাহআলম মাঝির পরিবারের একাধিক সদস্য মারাত্বক জখম হন। মামলাসুত্রে জানা গেছে জাকের হোসেন একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত ও সন্ত্রাসী। শাহ আলম মাঝির কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা চাঁদাদাবি করে জাকের হোসেন। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় জাকের হোসেনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ডাকাতরা তার বাড়িতে দু’দফা হানা দেয়। জাকের হোসেন কিছু দিন পুর্বে কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এরপর থেকে এলাকায় ডাকাতিসহ নানান অপরাধ কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজাখালীর উপকুল কুতুবদিয়া চ্যানেলসহ সাগরে ফিশিং বোট ডাকাতিতে তিনি সক্রিয়। সুন্দরীপাড়াস্থ তার বাড়িতে রাতে জড়ো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার ডাকাত ও দাগি ব্যক্তিরা। জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে জিআর-৩০/৬, জিআর-৫৮/১৫সহ পেকুয়া, কুতুবদিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদি শাহ আলম মাঝি জানায় জাকের হোসেন লম্বা বন্দুক নিয়ে রাতে ভয়ংকর হয়ে যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও এলাকায় থাকতে হলে তাকে নাকি নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে। আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ওই ডাকাতের কারনে জানমাল নিয়ে চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছি। সে একজন ভয়ংকর ও দুর্ধর্ষ ডাকাত। সাগরে ফিশিং ব্যবসা করা যাচ্ছেনা। এলাকায় কেউ তার ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। লবনবাহি কার্গো বোট ও ফিশিং বোট থেকে মাছ ও মালামাল লুট করছে ওই দুর্ধর্ষ ডাকাত।

পাঠকের মতামত: