ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চাল, লবণ, মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক

মাহাবুবুর রহমান : 222
৫০ কেজি প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকার বেশি। লবনের কেজি খুচরা বাজারে ৪০ টাকা আর ৫০ টাকার নীচে কোন সবজিই নেই। তার উপর সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে মাছের দাম অস্বাভাবিক। বাজর পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় নি¤œ আয়ের মানুষ জনের অবস্থা ক্রমে চাল খারাপের দিকে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারন মানুষ তাদের দাবী দ্রুত নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তাদের অনেকের ঘরে ঠিকমত খাবার জুটছে না। এ অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন না হলে না পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের অবস্থা সুচনিয় হবে বলে জানান তারা। এদিকে চাল, লবন, তরকারীর দাম বাড়ায় পাইকরাী খুচর বাজারের ব্যবসায়িরা একে অপরকে দোষারুপ করছে। আবার সবাই এক যোগে দোষারুপ করছে ঢাকা চট্টগ্রামের ব্যবসায়িদের।
কক্সবাজার শহরের বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ি জসিম উদ্দিন বলেন সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে প্রায় ২ মাস ধরে বর্তমানে দাম অপরিবর্তিত আছে বরং খেত্র বিশেষে কয়েক টি চালের দাম বেড়েছে। সাধারনত মানুষ পুরাতন পাইজাম বা মিনিকেট চাউল নেয়। সে সব চাউলের দাম ৫০ কেজি বস্তা প্রতি কমপক্ষে ৩০০ টাকা বাড়া। এখন সে হিসাবে খুচরা বাজারে আরো বাড়বে সেটা স্বাভাবিক এতে সাধারন মানুষ একুট সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষ। কারন তার দৈনিক আয় না বাড়লেও দৈনিক চাউল বাবদ ৭০/৮০ টাকা খরচ বেড়েছে। এদিকে বাজারে গিয়ে দেখা যায় শুধু চাল নয় দাম বেড়েছে প্যাকেট জাত লবন, আর সব ধরনরে তরকারীর। খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত লবন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, আর ৫০/৬০ টাকার নীচে কোন তরকারীই নেই। আর সাগরে মাছ ধরা বন্ধ খাকায় বেড়েছে সব ধরনরে মাছের দাম।
এ ব্যাপারে শহরের ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা শ্রমজীবি আবদুল মুবিন বলেন আমরা দৈনিক কাজ করে কখনো ৫০০ আবার কখনো ৬০০ টাকা আয় করি। এর মধ্যে ৫ জনের সংসার চলে তাই বাজারে দাম বাড়ছে বড় লোকদের মধ্যে এর প্রভাব না পড়লেও আমরা খুবই প্রভাবিত হই। আমি আগে যে চাল কিনতাম কেজিতে ২৬ টাকা সেটা এখন কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা আর মাছ তো খেতেই পারছি না। তার উপর তরকারী কিনতে হচ্ছে চড়া দামে যেমন মুলা এখন ৬০ টাকা, তিতাকরলা কেজি ৬০ টাকা আলু দেশি ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫ টাকা, তাহলে আমরা খাব কি ? নাকি না খেয়ে থাকবো।
বাদশাঘোনা এলাকার মহিলা সাকেরা বেগম বলেন আমি বিভিন্ন বাসা বাড়িত কাজ করি আমাদের নির্ধারিত আয় তাই বাজারে জিনিস পত্রের দাম বাড়লে আমাদের জন্য সমস্য হয়। আমি দৈনক কাজের টাকা দিয়ে অসুস্থ স্বামির চিকিৎসা সহ পরিবারের ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার ভরন পুষন বহনকরি কিন্তু এখন বাজারে যে অবস্থা হয়েছে ঠিক মত তিন বেলা খাবার তুলে দেওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে বাজারে চাল, ডাল, লবন, তরকারী সহ সব ধরনের নিত্য পণ্যের দাম বাড়াতে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়িদের মধ্যে একে অপরকে দোষারুপ করতেই ব্যাস্ত। জানতে চাইলে কালুর দোকান এলাকার খুচরা ব্যবসায়ি আবদুল হক বলে আমরা বড় বাজার থেকে পাইকারী কিনেএনে বাজারে বিক্রি করি  তাই বাজার দর আমাদের হাতে থাকে না। আমরা চাই মানুষ কম দামে জিনিস পত্র কিনুক। কিন্তু পাইকারী ব্যাবসায়িদের জন্য সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তারাই জিনিস পত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এদিকে পাইকারী ব্যবসায়িরা বলছে আমরা বস্তা প্রতি ১০০ টাকা বাড়ালে তারা কেজি প্রতি ১০ টাকা বাড়ায় এদে বস্তা প্রতি ৪০০ টাকা দাম বাড়ে অর্থাৎ খুচরা বাজারে ৪ গুন দাম বাড়ায়। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়িদের লাভ কমানোর পরামর্শ দের বড় বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ি আবদুল হালিম। এদিকে লবনের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারন স্থানিয় ব্যবসায়িদের বেশি দোষারুপ করছে সবাই। তাদের অতি মুনাফার কারনে  আমাদের উৎপাদিত লবন আমাদেরকেই ৪০ টাকা দিয়ে কিন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার মোঃ শাহজাহান বলেন বাজারে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সেটা আমরা উর্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানিয়েছি।

পাঠকের মতামত: