অনলাইন ডেস্ক ::::

বুড়ো বয়সে নিজের চেয়ে অর্ধেক বয়সী নারীর প্রেমে মজেছেন বৃটেনের মাল্টি মিলিয়নিয়ার রিচার্ড ক্যারিং (৬৮)। স্ত্রী জ্যাকুই (৬৭)কে ফেলে ৩৫ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান সুন্দরীর সঙ্গে নতুন বাড়িতে থাকছেন। ৪৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ছেদ টেনে ক্যারিংয়ের ধ্যান-জ্ঞান এখন নতুন প্রেয়সী প্যাট্রিসিয়া মোনডিন্নি। এ নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। ইতিমধ্যে ক্যারিং জ্যাকুই সম্পর্কের ভাঙনকে ‘বৃটেনের সব থেকে বড় বিবাহবিচ্ছেদ’ তকমা দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ। কেননা, বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে ক্যারিংয়ের স্ত্রী জ্যাকুই পেতে পারেন ৩৫ কোটি পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।
অভিজাত রেস্তরাঁ দ্য আইভি, লে ক্যাপ্রিস’সহ লন্ডনের অনেকগুলো রেস্তরাঁর মালিক মাল্টি মিলিয়নিয়ার রিচার্ড ক্যারিং। তার এক বন্ধু বৃটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানকে বলেছেন, ‘জ্যাকুইকে ফেব্রুয়ারি মাসে ছেড়ে এসেছেন রিচার্ড। প্যাট্রিসিয়াকে নিয়ে অত্যন্ত সুখে-শান্তিতে আছেন তিনি। আলাদা হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ক্যারিং ও জ্যাকুই পৃথক থাকছিলেন।’ ওই বন্ধু আরো বলেন, ‘সাবেক সহধর্মিণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিদ্যমান রয়েছে ক্যারিংয়ের। তবে সিদ্ধান্ত নেন যে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’
স্ত্রীর সঙ্গে নর্থ লন্ডনের যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকাকে নিয়ে প্রাসাদপ্রমোদ নতুন অট্টালিকায় ওঠেন ক্যারিং। গুঞ্জন আছে প্রেমিকা প্যাট্রিসিয়ার সঙ্গে তার অল্পবয়সী এক ছেলে সন্তানও রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম লন্ডনে অবস্থিত ১০ বেডরুমের ওই বিরাট অট্টালিকার মূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড। বাড়ির ভেতরে সুইমিংপুলও আছে।
তবে, জ্যাকুই এখনও নর্থ লন্ডনের যে বাড়িতে আছেন সেটা আরো বিলাসবহুল। বিরাট প্রাসাদতুল্য এ বাড়ির চারপাশে সুশোভিত বাগান। চতুর্দিকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। বাড়ির ভেতরে রয়েছে ৫৫ ফুটের একটি বলরুম। ব্যক্তিগত সিনেমা হলও রয়েছে।
ক্যারিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সানকে আরো বলেছেন, ‘ক্যারিং কোন মোহে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন তা নয়। বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করে নতুন জীবন শুরু করা ব্যয়বহুল হবে বটে। তবে, তিনি এতোটাই ধনী যে, তার জীবনযাত্রার মান বিন্দুমাত্র নিচে নামবে না। যা চান তাই করার সামর্থ্য তার রয়েছে।’
১৬ বছর বয়সে স্কুল ছাড়ার পর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায় নিজের ভাগ্য গড়ে তোলেন মি. ক্যারিং। নামিদামি রেস্তরাঁ ও ক্লাবে বিনিয়োগ রয়েছে তার। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৭০ কোটি পাউন্ড। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে তার। বৃটেনের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল লেবার, টরি উভয় শিবিরের উল্লেখযোগ্য দাতা ছিলেন তিনি। তার প্রয়াত পিতা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুবাদে ‘নন-ডম’ ট্যাক্স সুবিধা (সাধারণ বৃটিশ নাগরিকদের তুলনায় অনেক কম কর প্রদান) উপভোগ করেন।
তার স্ত্রী জ্যাকুই অবসরপ্রাপ্ত একজন বৃটিশ সেনা কর্মকর্তার মেয়ে। ৪৫ বছর আগে ক্যারিংয়ের সঙ্গে যখন পরিচয় হয় তখন জ্যাকুই ছিলেন একজন মডেল। এক ক্যাটওয়াক শোতে প্রথম দেখা হয়েছিল তাদের। ক্যারিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার ঘোষণা দেয়ার তিনদিন পর মডেলিং ক্যারিয়ার ছেড়ে দেন জ্যাকুই। পরে এ দম্পতির দুটি ছেলে সন্তান হয়। জেমি (৪৪) ও বেন (৩৭)। তারা পেশাগত জীবনে যার যার মতো সফল।
আইনজীবীরা সানকে বলেছেন, রিচার্ড ক্যারিংয়ের অর্ধেক অর্থের দাবিদার হতে পারেন তার দুই সন্তানের মা জ্যাকুই। আর এ বিচ্ছেদ নিয়ে ক্যারিংয়ের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন- ‘নো কমেন্ট’।