ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দূর্নীতিবাজ চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার গ্রেফতার হওয়ায় জালিয়াতির চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে

durnitiচকরিয়া অফিস:

দূর্নীতিবাজ ও ঘুষকোর চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার পরিতোষ কুমার দাস গ্রেফতার হওয়ার পর প্রতারণা ও জালিয়াতির চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এতোদিন সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়কে ঘিরে একটি প্রতারক চক্র জালিয়াতি ও ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে একজনের জমি অন্যজনের হাতে তুলে দিয়েছেন এমন ঘটনা অহররহ ঘটেছে। এইরকম প্রতারণার কারণে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে ঘটছে সহিংসতা, হামলা ও মামলা মোকাদ্দমা। অনেকে ভিটে বাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছে। এসব প্রতারণার কাজে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন অফিসের একশ্রেণির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

এইরকম প্রতারণার সুযোগ নিয়ে জাল দলিল সৃষ্টি করে জমিদখলের চেষ্ঠা করছেন চকরিয়া উপজেলা ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ভেন্ডিবাজার সিকদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সেকান্দরের পুত্র প্রতারক হেলালউদ্দিন। তিনি দূর্নীতিবাজ সাব-রেজিষ্ট্রার ও অফিসের প্রতারক চক্রের সহায়তায় জাল দলিল সৃজন করেছেন। এঘটনায় প্রতারক হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা জমির মালিক নাছিরউদ্দিন জানান, ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ভেন্ডিবাজার সিকদারপাড়ার বাসিন্দা মৃত লাল মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ সেকান্দর, আবদুছ সালাম, আবদুল গণি মেয়ে মুছানা বেগম ও মুসলেহা বেগমের কাছ থেকে ফাঁশিয়াখালী মৌজার ৩.৩৪ শতক জমি ক্রয় করেন। ২০১৩সালের ১৯জুন ওইসব জমি চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে তাকে রেজিষ্ট্রি দেওয়া হয়। রেজিষ্ট্রি দলিলমুলে ওই জমি তার নামে খতিয়ান সৃজিত রয়েছে। বর্তমানে ক্রয়কৃত জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতারক হেলালউদ্দিন ওই জমি দখল নিতে প্রতারনার ফাঁদ ফাঁদে। মৃত লাল মোহাম্মদের আরেক মেয়ে মনুজান বিবি দীর্ঘ ১২বছর ধরে স্ব-পরিবারে পকিস্তানের করাছি শহরে বসবাস করছেন। তার শ্বাশুর বাড়ি ডুলাহাজারা ইউনিয়নে। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খোকন মিয়া মনুজান বিবি দীর্ঘদিন যাবত করাছি শহরে বসবাস করার একটি প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন।

গত ২০১৫ সালের ১২জানুয়ারী হেলালউদ্দিন চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার প্রতারকের সহায়তায় তার মা গুলবাহারকে ফুফু মনুজান বিবি সাজিয়ে ওই জমি রেজিষ্ট্রি করেছেন। নাছিরউদ্দিন জানান, হেলালের নামে সৃজিত দলিলে ফুফু মনুজান বিবির ছবি থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে তার মা গুলবাহারের ছবি রয়েছে। এঘটনায় নাছিরউদ্দিন চকরিয়া সিনিয়র জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে প্রতারণা ও জালিয়াতির চিত্র।

পাঠকের মতামত: