ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় রাজনৈতিক দলের পদ কিনতে লাখ টাকার মিশনে নেমেছে মাদক সম্রাট তোফাইল

takaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আজিজনগর এলাকার আলোচিত মাদক সম্রাট তোফাইল আহমদ এখন হারবাং ইউনিয়ন যুবলীগের পদবী পেতে লাখ টাকার মিশনে নেমেছে। এতে হারবাং ইউনিয়ন যুবলীগের ত্যাগী নেতারা হতাশ হয়েছে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অর্ধ শতাধিক মামলা রয়েছে। থানায় মাদক চোরাচালান, মাদক আইনে, চাঁদাবজি ও বন আইনে প্রায় অর্ধ শতাধিক মামলা রয়েছে। গত ১০ই আগষ্ট চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় হারবাং, কৈয়ারবিল ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগৈর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর পর থেকে মাদক সম্রাট তোফাইল হারবাং ইউনিয়ন যুবলীগের পদ পেতে যুবলীগের নেতাদের ধারে ধারে লাখ টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিন অঞ্চলের আলোচিত মাদক সম্রাট তোফাইল আহমদ। তার রয়েছে বিশাল একটি মাদক সিন্ডিকেট। সে আড়ালে থেকে এসব ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে। আজিজনগর এলাকা এখন ‘মাদক পাড়া’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ওই এলাকায় হাত বাড়ালে পাওয়া যায় বাংলা মদ, গাঁজা, মরণ নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও হেরোইনসহ নানা মাদক সামগ্রী।

আজিজনগরে যুব সমাজ এখন নাগের ডাগায় মাদক পেয়ে ধবংসের দিকে দিকে ধাবিত হ”েছ। ওই এলাকায় এখন অনেক কিশোর-যুবক মাদক সেবন করতে নানা অপরাধের দিকে পা বাড়া”েছ। আজিজনগর তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখানে পুলিশ অভিযান চলাতে গেলে সে পালিয়ে যায়। সে একাধিক বার জেল হাজতে গেলেও রহস্যজনক কারণে আবার জেল থেকে বের হয়ে যায়। ফলে আবারও আসে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

মাদক সম্রাট তোফাইল আহমদ কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক পথে মাদক পাচার করে আসছে। তার লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায় বিভিন্ন মাদকের আখড়ায় পাচার করে থাকে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে তোফাইল।

জানা গেছে, গত ৪ মাস আগে জেল থেকে কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আবারও বীররুপে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। মাদক সম্রাট তোফাইল হারবাং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা আজিজনগর এলাকার আহমদ কবিরের পুত্র। হারবাং মগপাড়া ও কলাতলীতে তোফাইলের রয়েছে মাদকের ডিপো। ওই ¯’ান ডিপো থেকে মাদক সামগ্রী পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করা হয়। তোফাইলের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তার আপন ভাই জুলফিকারসহ কয়েক সহযোগী।

তোফাইল প্রতি মাসে কোটি টাকার মাদকের খাত থেকে আয় করে বলে জানিয়েছে ¯’ানীয়রা। এছাড়াও সে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে বিক্রিসহ নানা অপক্রম চালিয়ে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, হারবাং ও আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির আইসিকে ম্যানেজ করে মাসোয়ারা দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পাচার করে। একাধিক বার চকরিয়া থানা, লোহাগাড়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমাপ বাংলা মদ আটক হয়। এদিকে কয়েকবার র‌্যাবও অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার মদ উদ্ধার করে। রহস্যজনক কারণে প্রতিবারই মাদক সম্রাট তোফাইল ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যব¯’া গ্রহণ না করায় দিন-দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ সত্য নয় বলে মাদক সম্রাট তোফাইল আহমেদ দাবি করে তিনি বলেন, আমি মাদক ব্যবসা করি না বললে আপনি বিশ^াস করবেন না। তাই এলাকায় আসে মাদক ব্যবসা করি কিনা তা তদন্ত করে দেখেন।

জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, তার বিরুদ্ধে চকরিয়ায় কোন মামলা ওয়ারেন্ট নেই। তবে তোফাইল পুলিশের নজরে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: