ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মাছ বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Wএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে মাছ বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে গুরুতর আহত মাছ বিক্রেতা আনছার কামাল (৩২) এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছে। তার শরীর থেকে এখন রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

গত শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের শহরআলী স্টেশনের একটি সেলুনের দোকানের ভেতর ঘটেছে এ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। আহত আনছার কামাল কোনাখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মোক্তার আমহদ মিকারের ছেলে।

আহত মাছ বিক্রেতার বাবা মোক্তার আহমদ জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার ছেলে আনছার কামাল বাড়ির জন্য রড সিমেন্ট ক্রয় করতে নগদ ৭৬হাজার টাকা নিয়ে ঢেমুশিয়া স্টেশনে যাচ্ছিলেন। ওইসময় বাড়ির অদুরে শহরআলী স্টেশনের ফারুকের সেলুনের দোকানে সেভ করতে ঢুকেন। এসময় আনছার কামালের কাছে টাকা থাকার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সেলুন মালিক স্থানীয় নতুনঘোনা গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের ছেলে ফারুক তার সহযোগি আবুল হোসেনের ছেলে ইদ্রিছ আহমদ ও জালাল আহমদের ছেলে কাছিম আলীসহ দুর্বৃত্তরা মিলে দোকানের ভেতর তার ছেলেকে মাথা, পিঠ ও কাঁেধ উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে কোমড়ে থাকা রট সিমেন্টের নগদ ৭৬হাজার টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল সেট লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। মোক্তার আহমদ দাবি করেন, ঘটনার সময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুল নবী সেখানে উপস্থিত ছিল। কিন্তু তিনি ওইসময় ঘটনাটি নিবারণের জন্য কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি।

আহতের বাবা মোক্তার আহমদ জানান, তার ছেলেকে ছুরিকাঘাত ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত ৮আগষ্ট থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য মাতামুহুরী পুলিশ ফাড়ির আইসি মো.ইউনুছকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাতামুহুরী পুলিশ ফাড়ির আইসি মো.ইউনুছ বলেন, প্রাথমিক তদন্তের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। #

পাঠকের মতামত: