ঢাকা,রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে অনিবন্ধিত সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা জমজমাট!

সুদসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে ১৫টির অধিক অনিবন্ধিত সমবায় সমিতির দেদারসে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা । এসব সমবায় সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আসল টাকা পরিশোধ করেও চক্রবৃদ্ধি সুদ পরিশোধ করতে না পেরে দরিদ্র লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ১৫টিরও অধিক সমবায় সমিতি নির্বিঘেœ সুদের ব্যবসা চললেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এর বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে দিনদিন সুদের ব্যবসা করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কথিত সমবায় সমিতিগুলো। দারিদ্র বিমোচন ও সমাজের আত্মকর্মস্থানের সৃষ্টির অজুহাতে ওই সমবায় সমিতিগুলো মূলত খুটাখালীর দরিদ্র জনগোষ্টীর রক্তচুষে খাচ্ছে। এছাড়াও একাধিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে তাদের সমিতির টাকা সরকারী বিরোধী নানা ধরনের কর্মসূচীতে ব্যয় করা হচ্ছে বলেও নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। এসব সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ সমিতির পরিচালনা কমিটির অধিকাংশই রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমজমাট সুদের ব্যবসা করে সমিতির গুটিকয়েক নেতা কালো টাকার মালিক বনে গেছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়নে অন্তত ১৫টি সমিতি সরকারের সমবায় অধিদপ্তর থেকে কোন ধরনের রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ ব্যতিত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রমরমা সুদের বানিজ্য চালাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান শত শত দরিদ্র লোকজন সমবায় সমিতি নামধারী এসব সুদের ব্যবসার কবলে পড়ে এলাকা ছেড়েছে।

এছাড়া সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এলাকায় যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতি, সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি ,উপকুলীয় বহুমূখী সমবায় সমিতি, সেভিংস এন্ড ক্রেডিট, বহুমূখী সমবায় সমিতি, মাল্টিপারপাস সমিতি নামে চালাচ্ছেন সুদের ব্যবসা। এসব কথিত সমবায় সমিতির কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে মুল টাকা পরিশোধ করেও রেহাই পাচ্ছেন না দরিদ্র লোকজন।

চকরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনিবন্ধিত সমবায় সমিতি গুলোর বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাঠকের মতামত: