ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

লামায় ৩দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন

fমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও লামা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী মেলা ২০১৬ এর আয়োজন করা হয়েছে। ৭ আগষ্ট শনিবার বেলা ১১টায় মেলার উদ্বোধন করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ। লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৭ হতে ৯ আগষ্ট তিন দিনব্যাপী ফলদ বৃক্ষ প্রদর্শনী চলবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মেলা অঙ্গন থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালি শেষে অতিথিরা স্টল পরিদর্শন করেন। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৬ উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নেয়া পণ্যের বহুমুখীকরণ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন হবে। এজন্য সরকার নন-ট্রাডিশনাল পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রফতানির ওপর জোর দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কৃষিপণ্যের জন্য ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাটপণ্যকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে কৃষিপণ্যের তালিকায়। আর চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশই এখন বিভিন্ন দেশে চাল রফতানি করে। এবার নজর দিতে হবে অপ্রচলিত কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের ওপর। ১৯৭২-৭৩ সালে আমাদের রফতানির তালিকায় ছিল মাত্র ২৫টি পণ্য। যা রফতানি হতো ৬৮ দেশে এবং আয় হতো মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এখন আমরা বর্তমানে রফতানি করি ১৯৬টি দেশে। চলতি বছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা (৩৩.৫ বিলিয়ন ডলার) ধরা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, আজ আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ। আমরা নিজেদের উৎপাদিত খাদ্য, সবজি, ফল ও কৃষিজাত দ্রব্য নিজেদের প্রয়োজন মিঠিয়ে বাহিরে রপ্তানি করছি। কৃষি বান্ধব সরকার হওয়ায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল কৃষক ও স্টল দেয়া প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।

স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন লামা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এগ্রো সার্ভিস সেন্টার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ, খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প-কারিতাস, বন বিভাগ লামা রেঞ্জ, এনজেড একতা মহিলা সমিতি, ঢাকা ট্যোবাকো, আবুল খায়ের ট্যোবাকো এবং ব্যক্তিগত নার্সারী মালিকগণ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহবুবুর রহমান, লামা বিআরডিবি উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহী নেওয়াজ, মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ পারভেজ সহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যাক্তিববর্গ।

উল্লেখ্য, মেলা প্রতিদিন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া রয়েছে বিনামূল্যে ফলজ, বনজ চারা/কলম বিতরণ, সেমিনার, কর্মশালা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

পাঠকের মতামত: