ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

একটি ব্রিজের জন্য ২০ হাজার মানুষের কান্না

lama brige pic 21মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামা উপজেলায় ১টি ব্রিজের কারণে সদর ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপজেলা সদর থেকে বিছিন্ন হয়ে আছে। অংহ্লারী পাড়া হতে বৈল্ল্যারচর হয়ে পোপা সড়কের অংহ্লা পাড়া নামক স্থানে ব্রিজটির জন্য প্রতিনিয়ত পায়ে হেটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে হাজার হাজার পাহাড়ি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে। দীর্ঘদিনের প্রস্তাবিত এই ব্রিজটি না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদী-খালে পানি বেড়ে গেলে চরম দূর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসি। যুগের পর যুগ আওয়ামী সরকার সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে আসলেও উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা।

বৈল্ল্যারচর এলাকার বিশিষ্ট জনপ্রতিনিধি মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, অংহ্লারী পাড়া হতে বৈল্ল্যারচর হয়ে পোপা সড়ক দিয়ে লামা সদর ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের ২০ হাজার জনগণ চলাফেরা করে। গুরুত্ব বিচার করে ২০১৩ সালে উক্ত অংহ্লারী পাড়া খালের ব্রিজটি নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি ব্রিজ ও রাস্তার কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। অজ্ঞাত কি কারণে ব্রিজটি আজও নির্মাণ হয়নি তা আমরা জানিনা ! দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করে অত্র জনপদের মানুষের কষ্ট লাগোব করতে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর সহ আওয়ামী নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বৈল্ল্যার চর বাজারে ব্যবসায়ী ডাঃ সুমন কান্তি দাশ বলেন, এই এলাকায় প্রচুর শাক সবজি, ফলমূল, ধান, কলা, মরিচ, তামাক ও বাশঁ কাঠ উৎপাদন হয়। শুধু মাত্র রাস্তা না থাকায় তিনের একভাগ দাম পায়না কৃষকরা। তাছাড়া রোগাক্রান্ত লোকজন চিকিৎসা সেবায় চরম ভুগান্তির শিকার হয়।

অংহ্লা ডুরি এলাকার বাসিন্দা থুইচাছিং মার্মা (৪৩) বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা নদী-খাল পেরিয়ে অনেক কষ্ট করে উপজেলা শহরে গিয়ে পড়া লেখা করে। অত্র এলাকা থেকে প্রায় ৮শত ছাত্র-ছাত্রী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। ১টি ব্রিজের কারণে আমরা ২০ হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছি। এই রাস্তা দিয়ে তাউপাড়া, হ্লাচাই পাড়া, এম হোসেন পাড়া ও মেওলারচর সহ ৪টি সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার কোমলমতি ছেলে-মেয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

জনদূর্ভোগ বিষয়ে লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, অংহ্লারী পাড়া ব্রিজ ও অসম্পূর্ণ রাস্তার কাজ বর্ষা মৌসুম শেষে শুরু করা হবে। দ্রুত কাজ শুরু করতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, সদর ইউনিয়ন হলেও লামা সদর ইউনিয়ন দূর্গম এলাকা। এখনো সদর ইউনিয়নের কোন স্থান দিয়ে সড়ক পথে যাওয়া যায়না। লামা সদর ইউনিয়নকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে মাতামুহুরী নদী। সংযোগ ব্রিজটি নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন থেকে আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে অতিশয় যোগাযোগ করব।

পাঠকের মতামত: