ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দর্শনার্থী আগমণে ভাটা পড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া : Chakaria Pic. (Park) 10.07.16
চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থী আগমণে ভাটা পড়েছে। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে লাগাতার ভারী বর্ষন এবং মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার সিংহভাগ এলাকা তলিয়ে গেলেও ঈদের দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা থাকা সব বয়সের মানুষ। এতে জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র সাফারি পার্কে ঈদের দিন থেকেই ভিড়ও করে দর্শনার্থীরা। তবে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল এখনো বানের পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে এবারের ঈদে বন্যার প্রভাব পড়ায় অন্যান্য বছরের চাইতে কম দর্শনার্থীর ভিড় ছিল পার্কে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের গেইট ইজারাদার মো. নাছির উদ্দিন দৈনিক চকরিয়া নিউজকে  জানান, ঈদের দিন সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ঢল নামে। ঈদ উপলক্ষ্যে পার্কের দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন স্থাপনাসহ পুরো পার্ককে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। এতে আগত দর্শনার্থীরাও পার্কের অভ্যন্তরে মনের আনন্দে ঘুরে-বেড়ায়।
ইজারাদার নাছির আরো বলেন, ‘এবারের ঈদ আনন্দে বেশি মাতোয়ারা ছিল সব বয়সের মানুষ। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে লাগাতার ভারী বর্ষন ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সিংহভাগ ইউনিয়ন তলিয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সাফারি পার্কে। অন্যান্য বছর ঈদে যেখানে অর্ধ লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হতো সেখানে এবারের ঈদে প্রথম দিন ৬ হাজার, দ্বিতীয় দিন ৮ হাজার ও তৃতীয় শনিবার মাত্র সাড়ে ৪ হাজার দর্শনার্থীর পা পড়ে পার্কে। আজ রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় দর্শনার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে পার্ক।’
সরজমিন দেখা গেছে, একটানা ছুটিতে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পর্যটক ও দর্শনার্থীর আগমণ ঘটতে শুরু করে। এরই মাঝে হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমের ফাঁকে পার্কের গগণচুম্বি গর্জন গাছের ছায়াতলেই বেশি সময় কাটিয়েছেন আগতরা। বেশিরভাগ দর্শনার্থী পাখি, হরিণ, ভাল্লুক, কুমির, জলহস্তি, ওয়াইল্ডবিষ্ট, বাঘ ও সিংহ বেষ্টনীর প্রাণীগুলো দেখেছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে জানান, ঈদের আগে থেকে যেভাবে ভারী বর্ষন শুরু হয়েছিল, এতে মনে করেছিলাম এবারের ঈদে দর্শনার্থীর সংখ্যা একেবারে কমে যাবে। তবে ঈদের দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উল্লেখযোগ্য না হলেও কিছু দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক (রেঞ্জার) মো. নুরুল হুদা চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘এবারের ঈদে দর্শনার্থীদের আগমণ আশাহত করেছে। কেননা বর্তমানে বর্ষাকাল হলেও রমজানের শুরু থেকেই বৃষ্টির কোন দেখা ছিল না। এতে ধারণা করেছিলাম এবারের ঈদের একটানা ৯দিনের ছুঁটিতে প্রচুর পর্যটক এবং দর্শনাথীর দেখা মিলবে। এজন্য আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি এবং পুরো পার্ককে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল। জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিন্তু ঈদের মাত্র তিনদিন আগে থেকে লাগাতার ভারী বর্ষণ পরবর্তী বন্যার কারণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দর্শনার্থী আগমণে। সবমিলিয়ে আশানুরূপ দর্শনার্থীর আগমণ ঘটেনি পার্কে।’

পাঠকের মতামত: