ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরীতে বাড়ছে পানি

matamohoriসুমারাণী দাশ, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এবারের ঈদের আনন্দ মাটি হতে পারে বলেও অনেকের আশঙ্কা। কেননা ইতিমধ্যে উজান থেকে মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা ঢলের পানি উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিন্মাঞ্চলে ঢুকে পড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় কম করে হলেও নিন্মাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলো।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুইদিনের ভারী বর্ষণে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবছরের পর পর চারটি ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে খান খান হয়ে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলোর সংস্কার না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানি নিন্মাঞ্চলে ঢুকতে শুরু করেছে গতকাল সোমবার থেকে। এতে কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, সুরাজপুর-মানিকপুর, কোনাখালী, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, পশিম বড় ভেওলা, সাহারবিল, চিরিঙ্গাসহ অপেক্ষাকৃত নিচু ইউনিয়নগুলোর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, চিরিঙ্গা, বিএমচর, কোনাখালীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘দুইদিনের ভারী বর্ষণে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশ থেকে ঈদ উদযাপনে আসা গ্রামের মানুষগুলো চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বর্ষণ অব্যাহত থাকায়। প্রায় একমাস ধরে ঈদের আনন্দে মাতোয়ারা থাকা শিশুগুলোর মনে বাঁধ সেধেছে এই বৃষ্টি। পাহাড়ে এবং সমতলে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে এবারের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যেতে পারে। নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এসব ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।’

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, ‘প্রকৃতির বৈরী আচরণ এবং লাগাতার ভারী বর্ষণে হয়তো এবারের ঈদের আনন্দ ম্লান হতে পারে। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার দুঃস্থ এবং ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুয় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাউল বিতরণ করা হয়েছে।’

 

পাঠকের মতামত: