ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ফার্মেসীগুলোতে নিম্মমানের ওষুধে সয়লাব

medicinসেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার :::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজার জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ফার্মেসীগুলোতে নিম্মমানের ওষুধে সয়লাব । আইনের তোয়াক্কা না করে এসব নিম্মমানের ওষুধ বিক্রির কারণে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা এমনতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাজারের ফার্মেসীগুলোতে নিম্মমানের ওষুধ বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব ফার্মেসীর মালিক অতিরিক্ত মুনাফার আশায় নিম্মমানের কোম্পানীর ওষুধ বিক্রি করে আসছে। এমন ডাক্তারও রয়েছেন তাঁর প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে লেখা কারও বুঝার সাধ্য নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকটি ফার্মেসীতে নিম্মমানের কোম্পানীর ওষুধ ছাড়া আর কোন ঔষধ বিক্রি হয়না। চিকিৎসক হয়ে নিম্মমানের ওষুধ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে এসব অবৈধ ব্যবসা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডাক্তাররা যে ওষুধ লিখি দোকানদার সে ঔষধ দিতে চায়না। তারা নিম্মমানের কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করে থাকে। আবার দোকানদার রোগীকে বলে ডাক্তার কে যে কোম্পানি টাকা বেশি দেয় তারা সে কোম্পানির ঔষধ লিখে। খোদ ব্যবসায়ীরাই বলছেন বাজারে বিক্রি হওয়া ওষুধের এক তৃতীয়াংশই মানসম্মত নয়। ওষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দূর্নীতি ও অবহেলাই এজন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খুটাখালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে. প্রতিদিন এসব ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার টাকার ওষুধ। বিভিন্ন জটিল ও কঠিন অসুখ নিয়ে রোগীরা আসছেন ওষুধ কিনতে। কিন্তু তারা জানেন না, দাম দিয়ে কেনা এসব ওষুধ আদৌ মানসম্মত কিনা। এদিকে ডাক্তাররা রোগীদেরকে নিম্মমানের ওষধ বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে প্রতারিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা, সাথে সাথে রোগের ক্ষেত্রে ভুল ওষুধ নির্বাচনের কারনে রোগ সারা তো দুরের কথা আরো জটিল আকার ধারণ করছে। এগুলো অহরহ ঘটলেও ডাক্তারদের হাতে সর্বশান্ত হওয়া রোগীরা পরবর্তীতে চিকিৎসার পয়সা জোগাড় করতে না পেরে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে ডাক্তারদের চেম্বারে রোগী দেখাতে গেলে দেখা যায় চেম্বারের সামনে ওষুধ রিপ্রেজেনটেটিভদের দীর্ঘ লাইন। কে কার আগে ডাক্তার ভিজিট করে বিনামূলে ওষুধ প্রদান করে তার কাঙ্খিত ওষুধটি যেন ডাক্তার লিখে তার অনুরোধ জানাতে দেখা যায়। এই সব রিপ্রেজেনটেটিভদের অত্যাচারে ওষুধের দোকানে ওষুধ কেনা দুরূহ হয়ে পড়েছে। ওষুধের দোকানে ওষুধ কিনতে গেলে তারা হাতে থাকা প্রেসক্রিপশনটি কেড়ে নিয়ে দেখতে শুরু করে তার ওষুধটি লিখেছে কিনা। ভুক্তভোগী মহল ডাক্তারি মহান পেশাকে সেবার মাধ্যমে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করে কোম্পানীর দেয়া লোভনীয় জিনিসপত্র এমনকি প্রস্তাবের দিকে ঝুঁকে না পড়ে স্বাস্থ্যসেবার মান আরো উন্নত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত: