ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাঙ্গালী বিদ্বেষী এনজিও ব্র্যাক

brakeমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্র্যাক এর বিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালী বিদ্বেষী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ‘ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রামে’ কর্মী নিয়োগে বান্দরবান জেলায় বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও নাটকীয় আচরণ করে তাদের বাদ দিয়ে উপজাতি ছেলে মেয়েদের চাকুরী দেয়ায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে চাকুরী প্রার্থীরা।

চাকুরী প্রত্যাশী বান্দরবানের লামা উপজেলার মোঃ চাঁন মিয়া জানায়, এনজিও ব্র্যাক কিছু দিন আগে ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রামে পিএ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি পেয়ে আমরা বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে ৪৫ জন উপজাতি-বাঙ্গালী ছেলে মেয়েরা আবেদন করি। আবেদনের পর গত ১৯ জুন ২০১৬ইং ব্র্যাক এর চট্টগ্রাম কাজীর দেউরী আঞ্চলিক কার্যালয়ে লিখিত পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় আমরা লামা উপজেলা থেকে ৩জন বাঙ্গালী ছেলে-মেয়ে উত্তীর্ণ হই এবং মোখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল লামা উপজেলা থেকে ১জন উপজাতি ছেলের চাকুরী হয়। যে পরীক্ষায় পাস করেনি তার কিভাবে চাকুরী হয়েছে তা আমার অবগত নয়।

অন্য প্রার্থী রেহানা আক্তার ও শামীমা আক্তার বলেন, লিখিত পরীক্ষার ফলাফল আমাদের কাছে আছে। আমরা পাস করেও চাকুরী হয়নি আর যারা লিখিত পরীক্ষায় পাস করেনি তাদের চাকুরী হয়েছে। তাহলে এই পরীক্ষার নামে নাটকীয়তার কি প্রয়োজন ছিল। আমরা গরীব ছেলে মেয়ে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আমাদের তিনদিন চট্টগ্রামে থাকতে হয়েছিল। আমাদের প্রতিজনের প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমাদের গরীব ছেলে-মেয়েদের এই কষ্ট দেয়ার কারণ কি ? উপজাতি ছেলে মেয়েদের চাকুরী বৈধ করতে ও নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নমুক্ত করতে আমাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এনজিও ব্র্যাক। আমরা সরকারের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই।

এই বিষয়ে মুঠোফোনে ব্র্যাক ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের লামা উপজেলা ম্যানাজার জসীম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা। এটা চট্টগ্রাম অফিসের বিষয়। আমার কাছে তাদের কোন নাম্বার নাই।

ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে ব্র্যাক বান্দরবান জেলার ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের দায়িত্বরত ম্যানাজার জুয়েল চাকমা মোবাইলে (০১৭৩০-৩৪৯৫৪৩) একাধিকবার ফোন করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এনজিও ব্র্যাক এর জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি জনমনে নানাবিধ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কোন অদৃশ্যের কালো ছায়ায় প্রবাহিত হল এনজিও ব্র্যাক, তা পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত বাঙ্গালীরা জানতে চায়। গত ৩দিন আগে যে এনজিও’টি বিশ্বের সেরা এনজিও’র স্বীকৃতি পেল তাদের এই আচরণে অবাক বান্দরবানের সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: