ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রমজানে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে লামায় প্রশাসনের জরুরী সভা

ৃৃৃৃৃৃমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

আসন্ন রমজান। ইতিমধ্যে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে আকাশছোঁয়া। পবিত্র রমজানের আর বাকি ৬দিন। রোজার আগে প্রতিদিন কোন না কোন নিত্যপণ্যের দাম কমবেশি বেড়েই চলেছে। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বাজার ঘাট পরিষ্কার ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জরুরী সভা করেছে লামা উপজেলা প্রশাসন।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাবান তহুরা সহ সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বাজার কমিটির প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ডিলার গণ।

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, রমজানে যে কোন মূল্যে ইফতার, সেহেরী ও তারাবির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেন। এছাড়া রমজানের সময় ফুটপাতে বসে ব্যবসা পরিচালনা ও স্ব-স্ব দোকানের সামনে ড্রেইন ও আশপাশ সহ লামা পৌর শহর পরিষ্কার রাখতে অনুরোধ করেন।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, বর্তমানে সকল পণ্যের আমদানি ও মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। অথচ অসৎ ব্যবসায়ী- মজুদদার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অনেক নিত্যপণ্যের দর নিম্নমুখী কিংবা স্থিতিশীল। রোজাকে পুঁজি করে ক্রেতাসাধারণের পকেট কেটে শত শত কোটি টাকা নির্ঘাত হাতিয়ে নেয়া মেনে নেয়া হবেনা। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোজার মাসে যেসব নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেশিই হয়ে থাকে যেমন- চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ-রসুন, আদা, ডালের মতো অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগতভাবেই। কোথাও নিত্যপণ্য ঘাটতির আলামত চোখে পড়ে না। তা সত্ত্বেও অত্যাবশ্যকীয় নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কাছে এখন ক্রেতারা হার মানতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসীনতার কড়া সমালোচনা করেন। বিশেষ করে রোজার মাসে গরুর হাড়-মাংস ৪শত টাকা, শুধু মাংস ৪৮০, বয়লার মুরগির ও মাছের দাম পার্শ্ববর্তী চকরিয়া শহরের সম-পরিমাণ, দেশী মোরগ ৩শত টাকা বিক্রি করতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, রমজান সংযমের মাস। এই মাসে সকলতে নৈতিকতা রক্ষা করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে অনুরোধ করেন। রমজান আমাদের সকলের জন্য শান্তির বার্তা বয়ে আনুক প্রত্যাশা করে সভার সমাপ্তি করেন।

পাঠকের মতামত: