ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

চকরিয়ায় দুটি আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের শহরিয়া পাড়া এলাকায় পৃথক ভাবে আদেশকৃত দুটি  আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে রাতের আঁধারে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় যে কোন মুহুর্তে এলাকায় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে জানাগেছে, বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির কার্যকরী এলাকার আওতাধীন শহরিয়া পাড়া এলাকার মনিদ্র কুমার শীলের ছেলে শশাংক কুমার সুশীল ওরফে লাতু সমিতির শেয়ার ভিত্তিক জমি-জমার আলোকে স্থলাভিষিক্ত মূল সদস্য হই। তার পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত বসতভিটা ও নাল জমিতে দীর্ঘকাল ধরে তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি সময়ে তার বসতভিটা সংলগ্ন পৈত্রিক দখলীয় জায়গায় ওই এলাকার শরৎ চন্দ্র শীলের পুত্র সাধন চন্দ্র শীল জোরপূর্বক ভাবে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে। এনিয়ে শশাংক কুমার সুশীল বাদী হয়ে অভিযুক্ত সাধন চন্দ্র শীলসহ অপরাপর তিনজনের নাম উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) কক্সবাজার এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে এম আর মামলা দায়ের করে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এসিল্যান্ড চকরিয়াকে বিরোধীয় জায়গার সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ দেয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি ওই জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী শশাংক কুমার সুশীল ওরফে লাতু অভিযোগে আরো জানান, তার পৈত্রিক দখলীয় জায়গায় বেআইনী ভাবে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বিরত রাখার জন্য সাধন কুমার শীলকে বিবাদী এবং বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি /সম্পাদক মোকাবিলা বিবাদী করে জেলা সমবায় কর্মকর্তা ও আরবিট্রেটর কক্সবাজার বরাবরে একটি ডিসপিউট মামলা নং-২/২০২৩ রুজু করা হয়। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ডিসপিউট মামলার প্রেক্ষিতে জেলা সমবায় কর্মকর্তা ডিসপিউট মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমির উপর স্থাপনা নির্মাণ কাজ এবং সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি/সম্পাদককে জেলা সমবায় কার্যালয়ের গত ১৮ মে ২০২৩ ইং তারিখে একটি নির্বাহী আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশের আলোকে সমিতি কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্থাপনা নির্মাণ কাজ এবং সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধে রাখতে নোটিশ প্রদানের পাশাপাশি মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দেন। এছাড়াও বিরোধীয় জায়গার মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানা থেকেও অভিযুক্তদের নোটিশের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত বিবাদী সাধন চন্দ্র শীল দুটি আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। এনিয়ে ভুক্তভোগী বাদী শশাংক কুমার সুশীল ওরফে লাতু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সম্পাদক মঈন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা সমবায় কার্যালয়ের আদেশমতে বিরোধীয় জায়গায় অভিযুক্তদের স্থাপনা নির্মাণ কাজ এবং সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধে রাখার জন্য সমিতি থেকে নোটিশ প্রদানের পাশাপাশি মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: