ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

খোলা আকাশের নীচে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

চকরিয়ায় দিনেদুপুরে আগুনে পুড়ে ছাই তিনটি বসতবাড়ি

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দিনেদুপুরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ছড়িয়ে পড়া অগ্নিকাণ্ডে একটি পরিবারের ৩ টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। শুক্রবার (২ জুন) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী এলাকার নুরুল কবির বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান , গতকাল দুপুরে নুরুল কবিরের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট আগুনের সুত্রপাত হয়ে ৩টি ঘরের ভেতরে থাকা দামী আসবাবপত্রসহ, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা, স্বর্ণালংকার, চাল,ডাল, বাড়ির দলিলপ্রত্রসহ সব জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, কম্বল, বিতরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, শুক্রবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে হঠাৎ করে ধোয়া বের হতে থাকচ। একপর্যায়ে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে প্রাথমিকভাবে বালতি দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পরপর ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী বলেন, আগুনে মাথা গোজার একমাত্র বসতঘর ও ঘরে রাখা কিছু নগদ টাকাসহ শেষ সম্বল সবকিছু হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিবার সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্তা নুরুল কবির বলেন, বাড়ির সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দু ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। আগু‌নে ওই একটি বা‌ড়িতে তিনটি পরিবারের বসবাস করত তাদের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যু‌তিক শর্ট সা‌র্কিট থে‌কে আগু‌নের সূত্রপাত হয়েছে।

চকরিয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়র সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: