ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভায় জনশুমারি ও গৃহগণনা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::  দেশব্যাপী একযোগে জনশুমারী ও গৃহগণনা তথ্য সংগ্রহ করা হবে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন। দেশে ষষ্ঠ বারের মতো এই জনশুমারী ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্ভুল ও বিশ্বমানের পরিসংখ্যান প্রণয়নে প্রথমবারের মত দেশে “ডিজিটাল জনশুমারি” পরিচালিত হবে। সেই লক্ষে চকরিয়া পৌর প্রশাসন ও পরিসংখ্যান দপ্তরের আয়োজনে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৯মে, বিকালে চকরিয়া পৌরসভার হলরুম মিলনায়তনে মেয়র আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনশুমারি ও গৃহগণনার নিমিত্তে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অবহিতকরণ সভায় মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপনা করেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের জেলা শুমারি সমন্বয়কারী ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সুব্রত রঞ্জন হাজরা। এ সময় তিনি বলেন, চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে শুমারি সমন্বয়কারী ১জন, জোনাল অফিসার ২জন, সুপারভাইজার ২৪ জন ও গণনাকারী ১৬৭ জন মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে সার্বিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

উক্ত অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া পৌরসভার সচিব মাসউদ মোর্শেদ, চকরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো: আবু শোয়াইব, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের, কাউন্সিলর জাফর আলম কালু, কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের সমন্বয়কারী পবন কর্মকার, চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফোরকানুল ইসলাম তিতু, প্যানেল মেয়র-২ মুজিবুল হক মুজিব, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা, কাউন্সিলর নুরুস শফি, কাউন্সিলর ইফতেখারুল ইসলাম হানিফ, কাউন্সিলর আবদুস সালাম, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম হিম, চকরিয়া পৌরসভা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল মোস্তফা রাজিব প্রমুখ।

অবহিতকরণ সভায় মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রথমবার দেশে “ডিজিটাল জনশুমারি” পরিচালিত হবে। তার ধারাবাহিতায় পৌরসভা এলাকায় খুব শিঘ্রই সারা দেশের ন্যায় ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ শুরু করবে। দেশব্যাপী একযোগে ১৫-২১ জুন পর্যন্ত এ জনশুমারি চলবে। এতে জনশুমারি গণনাকালে কোন রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে যেন অন্তভুক্ত করা না হয় সে ব্যাপারে দায়িত্বরত মাঠ পর্যায়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই জনশুমারিতে সব খানা ও গৃহের তথ্য সংগ্রহ করার সময় পৌর এলাকার প্রত্যেক ব্যক্তিকে আন্তরিক ভাবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য আহ্বান জানান।

 

পাঠকের মতামত: