ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপজেলা প্রশাসন

চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে ৪০ বসতঘর পুড়ে ছাই, ক্ষয়ক্ষতি ৩ কোটি টাকা

জহিরুল ইসলাম, চকরিয়া ::

চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে একটি পাড়ার অন্তত ৪০টি বসতবাড়ি। রান্নার কাজে ব্যবহার করা গ্যাসের চুলোর আগুন থেকে প্রথমে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। তখন বাতাসের গতিও ছিল বেশ। এত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩ কোটি টাকা।

এছাড়া মাতামুহুরী নদীবর্তী হওয়ায় বাতাসের সেই তীব্রতায় মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এতে একে একে পুরো পাড়ার ৪০টি বসতবাড়ি পুড়ে ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আজ মঙ্গলবার ঈদের দিন সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া (সুশীল পাড়া) ও তৎসংলগ্ন মুসলিম পাড়ায়।

আগুনে ভষ্মিভুত হওয়া ৪০ পরিবারের মধ্যে ৩০ পরিবার ও বাকী ১০ পরিবার মুসলিম সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্র জানিয়েছে- ঘনবসতিপূর্ণ পাড়াটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় অন্তত ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুনে কোন মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে খবর পেয়ে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে অকুস্থলে যাওয়ায় আশপাশের অসংখ্য বসতবাড়ি আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী চকরিয়া নিউজকে জানান- একটি বাড়ির চুলোর আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। আগুনে মুহূর্তের মধ্যে ৪০টি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

ওসি বলেন- একদিকে বাতাসের তীব্রতা, অপরদিকে মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী হওয়ায় বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল। তাই স্থানীয়ভাবে শথ চেষ্টা করেও আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি, মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারগুলো কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বতর্মানে পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি জানানো হলে এদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জেপি দেওয়ান।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জেপি দেওয়ান চকরিয়া নিউজকে বলেন, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ছোট-বড় প্রায় ৪০টির মতো বসতঘর পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসন থেকে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার (৫০ প্যাকেট) এবং নগদ টাকা (পরিবার প্রতি ৩,০০০/- করে মোট ৯৬,০০০/-) বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী বরাদ্ধপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সবপরিবারকে ঢেউ টিন এবং আরও সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের অনুরোধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত: