ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে আনসার হত্যা, অস্ত্র লুটের ৪ দিন অতিক্রম- আটক হয়নি কেউ- অভিযান চলছে

ুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুগিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ :::

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলা। পর্যটক নগরী হিসেবে খ্যাত এই উপজেলায় স্থানীয় সাধারন মানুষের পাশাপাশি বসবাস করছে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা এই রোহিঙ্গাদের দুইটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে একটি হচ্ছে নয়াপাড়া শরণার্থী রেজিষ্টাট ক্যাম্প ও লেদা আনরেজিষ্টাট রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সর্ব প্রথম এই রোহিঙ্গাদের আগমন হয় ১৯৯১ সালে।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে এই সময়ে সীমান্ত এলাকা পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের উপজাতী রাখাইনদের সাথে দাঙ্গা লাগিয়ে এই টেকনাফ এলাকায় প্রবেশ করে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। কারন যুগ যুগ ধরে এই সীমান্তবর্তী এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে। অথচ এই রোহিঙ্গাদেরকে সুন্দর ভাবে বসবাস ও নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার দিনের পর দিন সার্বিক সহযোগীতা করে আসছে। বর্তমানে এই এলাকায় স্থানীয় জনগনের চেয়ে রোহিঙ্গারা প্রভাবশালী। এমন কোন অপরাধ নেই তারা সংঘঠিত করে না। স্থানীয়দের অভিমত এই রোহিঙ্গাদের কাছে একদিন আমরা জিম্মি হয়ে পড়ব। তারা আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আগ্রাসন ও অপরাধ যেভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়ত আর কয়েক বছর পর এই এলাকার সাধারন মানুষকে তাদের কাছে নিজের বাপ দাদার ভিটে বাটি বিক্রি করে চলে যেতে হবে অন্য এলাকায়। তাই আমাদের দাবি, বাংলাদেশ- মিয়ানমার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকাটিকে কাঁঠা তারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করতে হবে। আর যে সমস্ত রোহিঙ্গা এই এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাদেরকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে হবে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সীমানা পাচির দিয়ে আবদ্ধ করে রাখতে হবে।

গতকাল ১৬ মে সরেজমিনে টেকনাফ নয়াপাড়ার শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে দেখা যায়, ৭টি ব্লকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস আবার এই ৭টির ব্লকের রোহিঙ্গাদের দেখার শুনার দায়িত্বের ৭জন চেয়ারম্যান রয়েছে, তারা হচ্ছে, বি-ব্লকের মেীলভী সৈয়দ আহম্মদ, ডি-ব্লকের মো. ইসহাক, ই-ব্লকের মো. আফজল, এইচ-ব্লকের মো. মাহমুদুল্লাহ, আই-ব্লকের মো. শফিউল্লাহ, সি- ব্লকের মো. জমির ফি-ব্লকের ছালামত উল্লাহ। তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত এই চেয়ারম্যানরা। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক শরণার্থী ক্যাম্পে বেশ কয়েকজন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, খুন, ডাকাতি, রাহাজানী, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারা কারা, কে-কে এই সমস্ত অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে। সেই সমস্ত অপরাধীদের তথ্য নিতে হলে ৭ চেয়ারম্যানকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে হবে। উলেখ্য, ‘গত বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৩০-৩৫ জনের রোহিঙ্গা ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আনসার ক্যা¤েপ হামলা চালিয়ে কমান্ডার মো. আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে যাওয়ার সময় ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আনসারের ক্যাম্প ইনচার্জ বাদী হয়ে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেছে। অথচ ঘটনার প্রায় ৪ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা ডাকাতকে আটক করতে পারিনি। উদ্ধার করতে পারিনি লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র ও গোলা বারুদ। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ও সাধারন মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, আনসার ক্যাম্পে হামলা, আনসার সদস্যকে হত্যা, অস্ত্র ও গোলা বারুদ লুটের ঘটনা উদ্ধার ও আসামীদের আটক করতে আমাদের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে তার পাশাপাশি এই অপরাধ কর্মকান্ডে কারা কারা জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: