ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

বিরোধ মীমাংসা করে ফেরার পথে হামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়ার সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার সন্ত্রাসী হামলায় আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পারিবারিক বিরোধ মীমাংসা করে ফেরার পথে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. জমির উদ্দিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের বড় ভাই মো. আবদুল গফ্‌ফার বাদী হয়ে গতকাল শনিবার থানায় একাধিক নারীসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুরা পশ্চিম পাড়ার জনৈক আলমগীরের স্ত্রী-পুত্রদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধ নিষ্পত্তি করে দিতে আলমগীরের স্ত্রী শুক্রবার সকালে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করেন। এরপর দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য জমির উদ্দিনকে নিয়ে আলমগীরের বাড়িতে যান। এ সময় সব পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনার বিবরণ শুনেন চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে পরিষদে বসে সেই বিরোধ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অতর্কিতভাবে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের ওপর। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপালে গুরুতর আহত হন তারা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চকরিয়া নিউজকে বলেন, সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। তাঁর অভিযোগ, পরাজিত হওয়া সাবেক এক চেয়ারম্যানের ইন্ধনেই পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন ইউনিয়নের সাহাপুরা পশ্চিম পাড়ার নূর আহমদের ছেলে আকতার আহমদ, স্ত্রী রাশেদা বেগম, দুই ছেলে মিনহাজ উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিন, কন্যা মুন্নি আক্তার, আলমগীরের স্ত্রী শারমিন আক্তার, আবুল কাশেমের ছেলে কাইছার উদ্দিন, নূর হোসেন বাবুর ছেলে লিটন, নুরুল ইসলামের ছেলে কাইছার হামিদ খোকন ও আবুল হাসেমের ছেলে নুরুল হাসান।

চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্যদের ওপরও বর্তায়। একটি পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে এভাবে হামলার শিকার হওয়াটা দুঃখজনক। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: