ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

পহেলা মার্চ কক্সবাজার দিবস ঘোষণা, বাপা’র সমাবেশ থেকে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: সমুদ্র সৈকতের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের রায় ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন—বাপা কক্সবাজার জেলা শাখা। মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে ১৭টি পরিবেশবাদী সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয়। কক্সবাজারের

জেলা বাপার সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড কলিম উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ২০১৯ সালে রায় দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই রায়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ইজারা না দিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত বলেছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আগামী দিনগুলোতে সরকারের এমন নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। পাশাপাশি ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিলের পর এই মৌজার যে সকল ভূমি ইজারা দেওয়া হয়েছে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ইজারা নেওয়া ভূমিতে গড়ে উঠা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা রক্ষা নিয়ে করা মামলার রিভিউ পিটিশনের রায়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ। আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে ঝিলংজা মৌজার সমুদ্রসৈকতে লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত হোটেল—মোটেলসহ গড়ে উঠা বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে অপসারণ করতে বলা হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে এসব মাফিয়াদের স্থাপনা!

বক্তারা আরও বলেন, যদিও রায়ে বলা হয়েছিল ভবিষ্যতে কেউ যদি আদালতের এই রায় লঙ্ঘন করে তাহলে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপ নিতে পারবে। সমুদ্র সৈকতের ইসিএ এলাকায় সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার আন্দোলনকে আরো তরান্বিত করতে আগামী ১ মার্চ কক্সবাজার দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশ কর্মীরা। একই সাথে সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় সরকারের ১৩ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান বক্তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ,এম এরশাদ, বাপা কক্সবাজারের সহ—সভাপতি সাংবাদিক ফরিদুল আলম শাহীন, জাফর আলম দিদার, কবি এম.জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ,এম নজরুল ইসলাম, অনিল দত্ত, ইসমাঈল সাজ্জাদ, দোলন ধর, এম.এ আজিজ রাসেল, আজিম নিজাদ, সৌরভ দেব, সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সহ—সভাপতি এস.এম ছৈয়দুল্লাহ আজাদ, বিএমএসএফ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ, জাহেদ, পূর্ণবর্ধন বড়–য়া, মো. ইলিয়াস মিয়া, সদর বাপার সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, সাংবাদিক আবুল হাশেম, শহর বাপার সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইরফানুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক উসেন থোয়েন (উসেনমি বাবু), রায়হান সিদ্দিকী, নাফিস ইকবাল, তারেক হায়দার, ঈদগাঁও বাপার সভাপতি রেজাউল করিম, টেকনাফ বাপার সভাপতি নুর হোসেন, চকরিয়া বাপার মামুনুর রশীদ, মহেশখালী বাপার ছৈয়দ কাদের, রামু বাপার জাবেদ আনোয়ার, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জয় বড়–য়া, সহ—সভাপতি তন্ময় দাশ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির বিল্লাহ, গ্রীণ ভয়েস’র শহীদুল ইসলাম সাহেদ, দরিয়া নগর গ্রীণ ভয়েসের পারভেজ, হামিদ হোসেন, ফাহিম ইউছুফ, গ্রীণ এসোসিয়েট অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহেল, কক্সিয়ান এক্সপ্রেসের রবিউল করিম আকাশ, মকসুদুর রহমান অভি ও শাহ আলম।

পাঠকের মতামত: