ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

দুর্নীতি আর লোডশেডিংয়ের মধ্য দিয়ে চলছে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ

ফারুক আহমদ, উখিয়া :: উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে । দায়িত্বরত কর্মকর্তা লাইনম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালীপনায় গ্রাহক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বলতে গেলে দুই ডজন দালালের হাতে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা সম্পূর্ণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় , পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নাম শুনলেই সাধারণ গ্রাহকদের নাভিশ্বাস বেড়ে যায়। শত শত অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গেলেও চোখ বুঝে সহ্য করে গ্রাহকদেরকে সবকিছু মানতে হয়। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গ্রাহকরা মিটারের টাকা জমা দেওয়ার পরও মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। অসংখ্য গ্রাহক প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে । এমনকি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র আপডেট ও টাকা জমা দেওয়ার পরও ফাইল গায়েব হয়ে যাবার ঘটনা ঘটছে । যার সিমো নম্বর আর ৪০৭৩- ৭৪ তারিখ ২৭/১০/২০২১ ইংরেজি। সদস্য নম্বর ৪৪৮০৯৮। ফাইল গায়ের বিষয়টি ডিজিএম কে সরাসরি অবগত করার পরও তিনি কোন ব্যবস্হা নেয়নি। এ ছাড়াও আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ পাম্প চালু দেখার পরও কতৃপক্ষ নিরব। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি ও দালালে ভরে গেছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ মহৎ কর্মসূচি ভেস্তে যেতে বসেছে ।
গুরুতর অভিযোগ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বহীনয় আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ পাম্প চালুর ঘটনা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে , উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখা জনাব আলী পাড়া এলাকার মৃত বদরুজ মিয়ার পুত্র ফরিদ আহমদ ও ছৈয়দ আলমের পুত্র রুবেল আহমদ পল্লী বিদ্যুৎতের কতিপয় লাইন ম্যানকে ম্যানেজ করে আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ পাম্প চালিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ম বহিঃভূত।
এ ব্যয়পারে সেচ স্কীমের মালিক সোলতান আহমদ উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলেও রহস্য জনক কারণে এখনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
ভুত্তভোগী সোলতান আহমদ অভিযোগ করে বলেন ওই এলাকায় উপজেলা পরিষদ ও কৃষি বিভাগ থেকে বৈধ ভাবে সেচ স্কীমের অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর বুরো মৌসুমে চাষবাদ করে আসতেছি। তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ পাম্প চালু করায় অসংখ্য চাষী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গ্রাহক সোলতান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন গত দুই সপ্তাহ ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ও এজিএমের সাথে লিখিত অভিযোগ সহকারে স্বাক্ষাত করলেও এখনও সুরহা হয়নি।
এ ব্যাপারে ডিজিএম মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়ার আশ্বাস দেন।

পাঠকের মতামত: